নিউজ ডেস্ক

২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০৯:৫৯

সিলেটে বড়দিন পালিত

সিলেটের খৃষ্টান সম্প্রদায় ছাড়াও অন্য ধর্মের অনুসারিরাও বড়দিনের উৎসব সামিল হতে যোগ দিয়েছেন বড়দিনের আয়োজনে ।

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় নয়াসড়ক গির্জায় পালিত হয়েছে বড়দিনের উৎসব । বড়দিন উপলক্ষ্যে গির্জা ও আশেপাশের এলাকাকে বর্ণিল রূপ দেয়া হয়েছে । সিলেটের খৃষ্টান সম্প্রদায় ছাড়াও অন্য ধর্মের অনুসারিরাও বড়দিনের উৎসব সামিল হতে যোগ দিয়েছেন বড়দিনের আয়োজনে ।

এদিকে দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্তে জুমগাঁও পাহাড়ে নানা আয়োজনে বড় দিন উদযাপিত হয়েছে। বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে শুরু হয় নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর উৎসব মুখর পরিবেশ। খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ উৎসব বড় দিন। তাদের মতে এই দিনে যীশু খ্রীষ্ট পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করেন। বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে সন্দ্যা অবধি চলে বড় দিনের নানা অনুষ্ঠান। তাদের এই দিনে এক পর্যায়ে ভিন্ন উৎসবের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকাল থেকেই ছুটে আসেন জুমগাঁও পাহাড়ে।  জুমগাঁও গ্রামের প্রতিমা মারাক জানান, সারা পৃথিবীতে আজকের এই দিন উৎসবের দিন। সাধ্য অনুযায়ী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা যীশু খ্রীস্ট্রের জন্ম দিন পালন করেছি। দিনব্যাপী গির্জায় সম্মিলিত প্রার্থনা, কেক কাটা ও সম্মিলিত কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন তরুণ সমাজসেবক মোরশেদ আলম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ করিম লিলু, এম এ মোতালিব ভূঁইয়া, জুয়েল রানা, এরশাদ হোসেন, ডা. মোশারফ হোসেন, আব্দুল মালেক, সাদেক মাষ্টার, রাফায়েল সাংমা, সুমন সাংমা, সিমা আড়েং, প্রতিমা মারাক, অনিন্দ্র মারাক প্রমুখ। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে মোরশেদ আলম বলেন, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী এ এলাকার ঐতিহ্য। তাদের  সংস্কৃতি ধরে রাখতে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। ২০১৪ বছর পূর্বে ঈসায়ী ধর্মের প্রবর্তক ঈসা (আ) এ পৃথিবীতে এসেছিলেন মানবজাতির কল্যাণের জন্য। বড় দিন বয়ে আনুক সকলের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি।


 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত