সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ অক্টোবর, ২০১৭ ১২:১৯

পিঠব্যথা রোধে করণীয়

শারীরিক কর্মকাণ্ড কম, অনুপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস এবং ত্রুটিপূর্ণ বসার ভঙ্গি- এসব কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পিঠব্যথা এর মধ্যে অন্যতম। এই সমস্যা যাতে পেয়ে না বসে সেজন্য রয়েছে প্রচলিত প্রাকৃতিক প্রতিকার।

‘ব্যাকপেইন’ বা পিঠব্যথা নিরাময়ের জন্য বেশ কয়েকটি প্রচলিত পন্থা রয়েছে। প্রাকৃতিক ও নিরাপদ হিসেবে পরিচিত এসব কৌশল নিয়ে চিকিৎসাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কয়েকটি পন্থা এখানে দেওয়া হল।

তেল মালিশ: ইউক্যালিপ্টাস, সরিষা কিংবা নারিকেল তেল দিয়ে পিঠ মালিশ করিয়ে নিলে ব্যথা ও শরীরের ধকল দুটোই কমবে। মালিশের আগে তেল কুসুম গরম করে নিতে হবে। আর মালিশের পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। ব্যথা প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

হলুদ ও দুধ: রান্নায় ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি ব্যথা সারাতেও ওস্তাদ এই মসলা। হলুদে থাকা ‘কারকিউমিন’ উপাদান শরীরের ফোলাভাব কমায়, ফলে পিঠব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি মেলে।

এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সঙ্গে ১/৪ টেবিল-চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিয়মিত পান করতে হবে। প্রয়োজনে কয়েক ফোঁটা মধুও যোগ করতে পারেন।

ইপসম লবণ: বৈজ্ঞানিক ভাষায় ‘ম্যাগনেসিয়াম সালফেট’ নামে পরিচিত এই লবণ ফোলাভাব কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে ব্যথা ভালো হয়। বাথটাব ভর্তি পানিতে এক কাপ পরিমাণ ইপসম লবণ মিশিয়ে তাতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট শরীরে ডুবিয়ে রাখতে পারেন।

ঠাণ্ডা কিংবা গরম সেঁক: ফ্রিজে থাকা বরফ শীতল সবজির প্যাকেট, পানির বোতল ইত্যাদি কাপড়ে পেঁচিয়ে পিঠের ব্যথা আক্রান্ত অংশে আলতোভাবে ঘষতে পারেন। এতে আক্রান্ত অংশে ফোলা কমবে, ব্যথা সারবে।

অপরদিকে, গরম পানিতে তোয়ালে ডুবিয়ে বাড়তি পানি চিপে নিয়ে তোয়ালেটি আক্রান্ত অংশে আলতোভাবে চেপে ধরতে পারেন।

আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে এভাবে সেঁক দিতে থাকতে হবে। শুধু পিঠ নয়, শরীরের অন্যান্য অংশের ব্যথার ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।

ঘুমানোর ধরন পরিবর্তন: সকালে যদি প্রায়ই পিঠ কিংবা ঘাড় ব্যথা নিয়ে ঘুম ভাঙে তবে বুঝতে হবে আপনি বেকায়দায় শুয়ে ঘুমাচ্ছেন। যারা পিঠের ভরে ঘুমান তাদের উচিত হাঁটুর নিচে একটি বালিশ রাখা, যাতে ঘুমানোর সময় শরীরের নিচের অংশে টান না পড়ে থাকে। আর একপাশে কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস হলে বালিশ রাখতে হবে দুই হাঁটুর মাঝখানে।

আদা: সবধরনের ব্যথা ও ফোলা দূর করতে আদা উপকারী। কয়েক টুকরা আদা থেঁতলে দেড় কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর পানি ঠাণ্ডা করে আদা ছেঁকে পানিটুকু পান করুন।

স্বাদের জন্য কয়েক ফোঁটা মধু যোগ করতে পারেন, আবার সিদ্ধ করার সময় চা-পাতা ছিটিয়ে আদা চাও বানিয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন তিনবার এই তরল পান করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত