সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ জুন, ২০১৮ ০২:১৭

বাতি জ্বালিয়ে ঘুমালে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে

টেলিভিশন বা কম্পিউটার চলা অবস্থাতেই ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস অনেকের। আবার কারো বেডসাইড ল্যাম্প না জ্বালালে ঘুমই আসে না। রাতে উঠতে হলে ঘরে এমন মৃদু আলো জ্বালিয়ে শোয়া যায়। কিন্তু আপাত নিরীহ এ অভ্যাসটিই ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। খবর ডেইলি মেইল।

ঘুমের সময় শোয়ার ঘরে আলো জ্বললে চোখ থেকে এক ধরনের স্নায়বিক উদ্দীপনা তৈরি হয়। এ উদ্দীপনা মস্তিষ্কের সে অংশটিতে সঞ্চারিত হয়, যেখান থেকে হরমোন, দৈহিক তাপমাত্রা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রিত হয়। অসময়ে এমন অস্বাভাবিক স্নায়বিক উদ্দীপনা বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। দৈহিক তাপমাত্রার অস্বাভাবিক হ্রাস-বৃদ্ধি পরিপাকক্রিয়ার ছন্দ ব্যাহত করে এবং পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ বা গ্যাস্ট্রিকের কারণ হয়। আলো জ্বালিয়ে ঘুমানোর বিপত্তি এখানেই শেষ নয়।

শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দেখেছেন, আলো জ্বালিয়ে ঘুমালে মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদন ব্যাহত হয়। স্লিপ-হরমোন বলে পরিচিত মেলাটোনিন দেহে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। মেলাটোনিন উৎপাদন ব্যাহত হলে দেহে ইনসুলিন তৈরির কাজও বিঘ্নিত হয়, যে প্রক্রিয়াটিকে ইনসুলিন-রেজিস্ট্যান্স বলা হয়। এতে করে রক্তপ্রবাহ থেকে শর্করা বা সুগার পৃথক্করণের কাজ থেমে যায়। এর ফলে অনিবার্য হয় টাইপ-২ ডায়াবেটিস।

আগামী দশকে বিশ্বে সবচেয়ে বিস্তৃত রোগ হতে চলেছে ডায়াবেটিস। আর এ ডায়াবেটিক রোগীর ৯০ শতাংশই ভুগবেন টাইপ-২ ডায়াবেটিসে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ২ কোটি ৩০ লাখ রোগীর মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ৯০ শতাংশ। অন্যান্য দেশের অবস্থাও প্রায় একই।

নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষণা নিবন্ধের মুখ্য লেখক ড. আইভি চুং ম্যাসন বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কেবল এক রাতের ঘুমের সময় আলোর উপস্থিতি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া আলোর উপস্থিতি শুধু ঘুমকেই বিঘ্নিত করে না, পরিপাকক্রিয়াও ব্যাহত করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত