সোডিয়াম বা লবণ রক্তচাপ বৃদ্ধির মূল কারণ, এটা সবারই জানা। তাই কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে রক্তচাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সূত্র উল্লেখ করে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তাজা শাকসবজি এবং অল্প পরিমাণে সোডিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষকদের মতে খাবারে অল্প পরিমাণে সোডিয়ামের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ উপাদানগুলো থাকা জরুরি।

বীজজাতীয় সবজি: যুক্তরাজ্যের পুষ্টিবিদ নাটালি ফার্নান্দেজ বলেন, ‘যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিন অন্তত এক কাপ পরিমাণ সাদা শুঁটিজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। কারণ এতে রয়েছে ১৩ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ৩০ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম এবং ২৪ শতাংশ পটাসিয়াম।’ প্রতিবেলার খাবারে, সুপ হিসেবে বা নাস্তায় বীজজাতীয় সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।

তিনি বলেন, ‘মাংসর বদলে প্রোটিনের উৎস হিসেবেও এই ধরনের সবজি বেশ উপযোগী।’

নাটালি ফার্নান্দেজ মনে করেন সকালের নাস্তার চর্বিহীন দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তিনি বলেন, ‘চর্বিহীন দই থেকে ৪৯ শতাংশ ক্যলসিয়াম, ১২ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম এবং ১৮ শতাংশ পটাসিয়াম পাওয়া যায়।’ তাছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দই নাস্তার স্বাদ বাড়াতেও সহায়ক।

কলা: যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের প্রতিদিন একটি মাঝারি আকারের কলা খাওয়া উচিত। এতে থাকে এক শতাংশ ক্যালসিয়াম, আট শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম এবং ১২ শতাংশ পটাসিয়াম। রক্তে মানসিক চাপ সৃষ্টিকারী হরমোনের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে কলা।

সালাদে বাঁধাকপি: কাঁচা বা রান্না করা এক কাপ বাঁধাকপি শতকরা নয় ভাগ ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে থাকে। পাশাপাশি এতে আছে ছয় শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম এবং নয় শতাংশ পটাসিয়াম। তাই সালাদ তৈরির সময় বাঁধাকপি মেশালে তা সালাদের পুষ্টিগুণ বাড়ায়।

সবুজ সবজি: প্রতিদিন এক কাপ রান্না করা ব্রোকোলি ছয় শতাংশ ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে সহায়তা করে। এছাড়াও ব্রোকোলিতে আছে আট শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম এবং ১৪ শতাংশ পটাসিয়াম। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ব্রোকোলিতে আছে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- গ্লুকোসিনলেইটস।