সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ অক্টোবর, ২০১৯ ২০:২৬

ডায়রিয়া হলে কি করবেন

আমাদের দেশে ডায়রিয়া খুব সাধারণ এক স্বাস্থ্য সমস্যা। দিনে তিনবার বা তার চেয়ে বেশিবার স্বাভাবিকের চেয়ে পাতলা পায়খানা হওয়াকে ডায়রিয়া বলে। ডায়রিয়ার ফলে শরীর থেকে পানি ও লবণজাতীয় পদার্থ বের হয়ে যায়। শরীরে পানিস্বল্পতা ও লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। পানিস্বল্পতা ও লবণের ঘাটতি পূরণ করা না গেলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

শীতের শুরুতে ঋতু পরিবর্তনের এসময়ে নানা রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। সেই সাথে হতে পারে ডায়রিয়া। তাই ডায়রিয়া হতে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। বিশেষ করে বাচ্চাদের যাতে ডায়রিনা না হয়। কেননা এ সময়ে অনেক বাচ্চা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কস্ট পায়।

ডায়রিয়ায় হাত থকে বাঁচতে খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে হতে হবে সচেতন। চিকিৎসকেরা বলেন, বাচ্চাদের পানি ফুটিয়ে খাওয়ানো উচিত। বাসি খাবার এবং না ঢাকা খাবার খাওয়ানো উচিত নয়।

সাধারণত পরিপাকতন্ত্রে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী সংক্রমণের কারণেই ডায়রিয়া হয়ে থাকে। অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করলে ডায়রিয়া হওয়ার ঝিকি থাকে। তাই হাত ধোয়া, পরিচ্ছন্ন উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ ও গ্রহন করা উচিৎ।

কারো যদি ডায়রিয়া হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডায়রিয়া হলে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে যায়, তাই প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর বয়স অনুযায়ী পরিমাণমতো খাবার স্যালাইন পান করাতে হবে। খাবার স্যালাইন ছাড়াও ডাবের পানি, ঘরে তৈরি তরল খাবার যেমন ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, তাজা ফলের রস ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। স্যালাইন এর পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবারও চালিয়ে যেতে হবে। বুকের দুধ খাওয়া শিশুরা খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বুকের দুধও খাবে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। রাস্তাঘাটের শরবত, পানি, খাবার ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। পচা-বাসি খাবার খাওয়া ত্যাগ করতে হবে। খাবারের আগে হাত ভালভাবে পরিস্কার করে খাবার খেতে হবে। শিশুদের অসুস্থ রোগী থেকে দূরে রাখতে হবে। সবসময় বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত