বর্গমাইলের পদাতিক : ৪-৫

 প্রকাশিত: ২০১৬-১০-২২ ২০:৫৪:০৩

রাজা সরকার:

ব র্গ মা ই লে র  প দা তি ক

ঊর্মিলার একটাই ঘর। পাশে রান্নার ছোট্ট জায়গা। চারটে ছানাপোনা জায়গা নেয় যথেষ্ট।শোয়ার কষ্ট বেড়েছে। শীতের শুরু। রাতের দিকে ঠাণ্ডা লাগে। তার উপর একজন জোয়ান ছেলে। যদিও আলগা একটা চাটাই দিয়ে আলাদা করা ঘরের এক কোনে একটা চারপাই রাখা আছে। দরজার কাছাকাছি। ওটা এখন নানা জিনিষ পত্রে বোঝাই। অনাদি থাকতে ওখানে সে মাঝে মধ্যে শুতো। ঊর্মিলার এখন সেটা খালি করে দিতে হবে সুবোধকে শুতে দেয়ার জন্য। কপালে কাজ থাকলে ঠেকায় কে। সারাদিনের পরিশ্রমের পর—তবু ঊর্মিলা কাজে হাত দিতে দেরি করলো না। এতক্ষণ ঊর্মিলা খেয়াল করে নি যে সুবোধের সঙ্গে একটা কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ ছিল। ব্যাগে গামছা লুঙ্গি দাঁত মাজার ব্রাশ পেস্ট আর এক সেট প্যান্ট জামা।

আসলে আজকের দিন ধরলে সুবোধের এই অজ্ঞাত যাত্রার দশ দিন পার হচ্ছে। আজকের দিন বাদ দিলে গত নয় দিন দেশে তার নির্দিষ্ট কিছু চোখের আড়ালে চলছিল চলাচল। এভাবে আর চলছিল না। শেষ খবর এটাই ছিল যে দেখা মাত্র গুলি করার আদেশ পেয়েছে পুলিশ। খবরের সত্যি মিথ্যা যাচাইয়ের উপায় ছিল না। তবু শুরুর থেকে ঘটনাক্রম বিবেচনা করে সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিলো যে বর্ডার অতিক্রম করবে। এ ছাড়া উপায় নেই। পুলিশ ও গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে ঘুরতে ঘুরতে বাংলাদেশের উত্তরের সীমান্তের কাছাকাছিই অবস্থান করছিল সে। ফলে স্থানীয় যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে সে একদিনের মধ্যে সীমান্ত রেখা পার হয়ে গেল। তেমন বাঁধা বা কোন অসুবিধে হয়নি। অবশেষে বর্ডার পার হয়ে যেন স্বস্তি। বুক ভরে বাতাস নিয়ে কিছুটা হালকা বোধ হলও যেন। অন্তত এখুনি পুলিশের গুলির মুখে তাকে পড়তে হবে না। এপারে এসে বেশ কিছুটা ভেতরে ঢুকে একটা চা এর দোকানে বসে অনেকটা সময় নিয়ে সে চা খেয়েছে। জায়গাটা অনেকটা ট্রানজিট পয়েন্টের মতো। কেউ কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করে না। কারণ অনেকেই বর্ডার পার হয়ে এসেছে। এসে প্রায় সকলেই এখানে চা খায়। সামনেই কাছাকাছি কী একটা মেলা চলছে। মেলা-মুখী মানুষই সংখ্যায় বেশি। শোনা গেল মেলার নাম হুজুর সাহেবের মেলা। এই সময় বর্ডারও বেশ নিয়ম কানুন কড়াকড়ি শিথিল করে বসে থাকে। শুরু থেকেই নাকি দু পারের মানুষ এই মেলার অংশীদার। ফলে মানুষ জনের যাতায়াত এই সময় কিছুটা অবাধ থাকে। সুবোধের পক্ষে ভালো হয়েছে যে বর্ডার অতিক্রম করতে এই সময় তার টাকা পয়সা খরচ তেমন খরচ করতে হয় নি।

কিন্তু এপারের কয়েক ঘণ্টার যাপিত জীবনে সুবোধের স্বস্তিটা এখন আর নেই তেমন। নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে সে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এখন। নিজেই বুঝতে পারছে যে সে কত অনভিজ্ঞ একজন। বর্ডার অতিক্রম করার সময় তার একবারও মনে হয় নি যে এ দেশে তার আস্তানা কোথায় হতে পারে। আত্মীয় স্বজন কোথায় থাকতে পারে। থাকলে তার ঠিকানা? পালানোর সময় এত সব ভাবার সময়ও ছিল না অবশ্য তার। শেষ পর্যন্ত কাজটা কতদূর সঙ্গত হলও তাও সে এই সময় চিন্তা করতে লাগলো।

উচিত অনুচিত ভাবার সময় এমনিতেই জীবনে ঊর্মিলা খুব কম পেয়েছে। তাদের জীবনের যা ছিরি ছাদ তাতে এসব ভাবা বিলাসিতা। সবটাই তাদের কেমন যেন তাৎক্ষণিকতা দিয়ে মোড়া। যা হবার হবে বা কপালে যা আছে দেখা যাবে—এসব আপ্ত বাক্যে ভর করে চলা তাদের জীবন। তবু আজ উচিত অনুচিত নিয়ে তাকে বেশ ক’টি প্রশ্নের জবাব নিজেকেই দিতে হচ্ছে। যেমন এক—সে নিজে।-একজন মহিলা। স্বামী থাকেনা সঙ্গে। দুই—প্রতিবেশী এবং পুলিশ। বস্তি জীবনে এই দুই জনাই যে কোনও সময় বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তিন—সুবোধ। শেষ পর্যন্ত একটি ছেলে। আসলে সে একজন পুরুষ। সে আসলে কতটা কী ঊর্মিলার অজানা। তবু সে ছেলেটিকে ঘরে এনে তুললও। মনে দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু তা কেন কাজ করলো না?

ছেলেটির নম্রতা অসহায়তা কি তাকে কিছুটা বশ করে ফেলেছিলও? পথের পরিচয় পথে কেন ফেলে আসতে পারলো না সে। কে কী রকম মানুষ কে জানে। তার উপর বিদেশের। বাংলাদেশকে যদিও সে অচেনা বিদেশ মনে করে না। এই বস্তিতেই-ত কত বাংলাদেশের মানুষ আসে যায়। তা ছাড়া সে নিজেও-তো ওদিককারই। মায়ের কোলে থাকার সময়ে সেও একদিন দেশ ছেড়েছিল। তবু মানুষ চেনা তার কম্মও নয়। সারাজীবন এই জন্য তার লাঞ্ছনাও খুব কম জোটে নি। যাক নিজের সঙ্গে এসব পুরানা প্যাঁচাল পারার সময় কই তার।ওদিকে তাকিয়ে দেখে মাথা নিচু করে ছেলেটি এখনও চৌকির উপর ঠায় বসে। মায়াই লাগে দেখলে।

--কী হলও—জামা কাপড় ছাড়েন। সঙ্গে আছে কিছু?

হঠাৎ ঊর্মিলার কথায় যেন সুবোধের সম্বিৎ ফিরলও। থতমত খেয়ে বলে উঠলো—হ্যাঁ হ্যাঁ আছে, এই ছাড়ছি।

--দেখেন দরজার বাইরে বালতিতে জল আছে—হাত মুখ ধুয়ে নেন।

--হ্যাঁ যাচ্ছি

--শুয়নের কষ্ট হইবো।

--কষ্ট কিসের

--দেখতাছেন না ঘরের অবস্থা

--না না আমার কষ্ট কিছুই হবে না। বরং আপনাকে কষ্টের মধ্যে ফেললাম।

তৎক্ষণাৎ উত্তর না দিয়ে ঊর্মিলা ছানাপোনাদের দিকে মন দিল। সবকটাই এলোমেলো ভাবে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। সবকটাকে টেনে টুনে ঠিক মতো শুইয়ে দিল। ঊর্মিলার দেরি দেখে ওদের খাইয়ে দিয়েছিল জাহানারা। সপ্তাহে দু/তিন দিন তার হলদিবাড়ি যাওয়া থাকে সবজি আনার জন্য। ঐ সব দিন গুলোর জন্য পাশের ঘরের জাহানারার সঙ্গে একটা ব্যবস্থা করা আছে ঊর্মিলার। বাচ্চাগুলোকে যাহোক দুপুরে একটু ভাত ফুটিয়ে খাওয়ানোর। একটু চোখে চোখে রাখার। ফলে এই সব দিনগুলোতে জাহানারা ঘন ঘন এ ঘর ও ঘর করেই দিন কাটায়। আজও তাই করেছে।

ঊর্মিলার দেরি দেখে বাচ্চাগুলোকে সন্ধ্যার পর খাইয়ে সে ঘরে গিয়েছিল নিজেদের ভাত বসানোর জন্য। এই সময়ই ঊর্মিলা ফেরে। কিন্তু সঙ্গে অচেনা এক যুবক দেখে সে আর ঊর্মিলার সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। না হলে একবার এসে অন্তত দেখা করে যায়। বলে-দিদি বাচ্চাকাচ্চা বুইজ্যা লইছেন তো—অহন আমি যাই। ঊর্মিলাও হেসে জবাব দেয়—না, পাই নাই—তুই ব আরো কিছুক্ষণ। মাঝে মাঝে ঊর্মিলা জাহানারার জন্যও লজেন্স বিস্কুট আনে। জাহানারা হাতে নিতে লজ্জা পায়। বলে—আমারেও কি পোলাপান পাইছেন নি।

জাহানারা আর কয়দিন আছে। এই মাস তিন হইলো। বস্তির পোলাপান বস্তির মানুষেই দেখে। আগেও ঊর্মিলা হলদিবাড়ি যাওয়ার আগে একজনকে শুধু বলে যেতো যে রাস্তায় যেন না যায় দেখতে। পাশের ঘরে জাহানারার আসাটাও-তো উর্মিলা টের পায় নি প্রথমে। মাঝে মাঝে চাপা কান্না শুনে একদিন ঊর্মিলাই দেখে যে একটি অচেনা মেয়ে ঘরে কোনে বসে। তারপর আলাপ করে। সেই থেকে তার এই ঘরে যাতায়াত।

আজ সঙ্গে একজন অতিথি দেখে জাহানারা তাদের ভাতে আবার একটু চাল ঢেলে দিয়েছিল। সঙ্গে দুটো আলু সেদ্ধ দিতেও ভোলেনি। কারণ ঊর্মিলার ঘরের হাড়িতে যা ভাত অবশিষ্ট আছে তা শুধু ঊর্মিলার পরিমাণেই আছে। আর সারাদিন এত খাটা খাটনির পর ঘরে ফিরে আবার রান্না করা—ঊর্মিলাদির জন্য খুব সহজ হবে না ভেবেই একটু ভাতের ব্যবস্থা।

ইতিমধ্যে ভাত হয়ে যাওয়াতে সে ঊর্মিলার ঘরের দরজায় এসে মিহি স্বরে একবার ‘দিদি’বলে ডাকলও। ডেকে একটা ঢাকা পাত্রে ভাত আর আলু সেদ্ধ ঊর্মিলার হাতে দিয়ে চলে গেল। দাঁড়ায় নি। ঊর্মিলা বলা সত্ত্বেও ঘরে ঢোকেনি। হাতে ভাতের পাত্র পেয়ে খুব বেশি অবাক হয়নি। কারণ মেয়েটির বিবেচনা শক্তির উপর তার খুব আস্থা। যদিও ঊর্মিলা ভেবে রেখেছিল যে অতিথিকে নিয়ে তার জন্য রাখা ভাত ভাগ করে আজ রাতের মত কোনোমতে খেয়ে নেবে। এখন এই অতিরিক্ত ভাতটুকু পেয়ে মনে মনে খুশি হলও সে। কারণ নিজের পেটে অসম্ভব খিদে। নিশ্চয়ই ক্ষুধার্ত ছেলেটিও।


হাত মুখ ধুয়ে লুঙ্গি পরে একটা গেঞ্জি গায়ে সুবোধ সদ্য ঠিকঠাক করা চারপাইটার উপর বসলো।

ঊর্মিলা ঘরে নেই। বোধ হয় বাইরে গেছে। সুবোধের মনে পড়লো কয়েকবার চা বিস্কুট ছাড়া সে সারাদিন আজ তেমন কিছুই খায়নি। পেটে বেশ জানান দিচ্ছে খিদে। ঘরের ভেতরটা ভালো করে লক্ষ্য করার চেষ্টা করলো। দেখলও জন্মাবধি দেখা কোন বাস-গৃহের সঙ্গে এর কোনও মিল নেই। খুব নিরীহ এক মালিন্য যেন সর্বত্র ঝুলছে। নিজের চেনা জীবন যাপনের কোন চিহ্ন নেই এখানে। মাঝখানে এক চৌকিতে শুধু ছবির মত নিদ্রামগ্ন চার চারটে শিশু। কিছুটা দূরে একটা কেরোসিনের কুপি জ্বলছে।

সুবোধের চোখে ঘরটাতে শুধু ‘নাই’এর সমারোহ।এতগুলো ‘নাই’ এর মধ্যেও তা হলে মানুষ বাঁচে,বেঁচে থাকে--এই বেঁচে থাকা মানুষদের কি সে চেনে? তার আজন্ম শিক্ষা আদর্শ রাজনীতি বা ছাত্র আন্দোলন থেকে সে কি কোনোদিন এই সব মানুষদের চেনার কোনও প্রেরণা পেয়েছে?--না। সে শুধু শুনেছে এ বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই নাকি অনেক ‘নাই’এর মধ্যে বাঁচে। হয়তো বাঁচে। কিন্তু এরা তো তার কাছে শুধু তথ্য আর পরিসংখ্যান মাত্র ছিল এ-যাবত। তবে কি সে এই বিশ্বব্যব্যস্থার এক ক্ষুদ্র কণার দেখা পেলো আজ? ভাবনার ভেতর সুবোধ খুব বেশি আর ডুবতে পারলো না। ঊর্মিলা ঘরে ঢুকে পড়লো। মনে হয় বাইরে কোথাও থেকে স্নান সেরে এসেছে। আবছা আলোতে ঘরের খুব বেশি দেখাও যায় না। সুবোধকে উদ্দেশ্য করে বললও—সারাদিন-তো মনে হয় পেটে কিছু পড়ে নি। আইসা পড়েন। গরীবের খাওয়া একটু খাইয়া নেন, না হইলে ঘুম হইবো না। বিনাবাক্যে সুবোধ এক সময় খেতে বসে গেল। অতঃপর এই মাত্র দেখা অনেক ‘নাই’এর নুন তার শরীরে প্রবেশ করতে লাগলো।

যে পরিমাণ ক্লান্তি আর ধকল গেছে দু’জনের তাতে রাতে খাওয়ার পর জেগে থাকাটা অসম্ভবই ছিল। কিন্তু কথা বলতে বলতে কিছুটা ঝিমুনি এলেও তারা ঘুমিয়ে পড়লো না। একটা অসম্ভব সহাবস্থানের সঙ্গে তারা মানানসই হওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো। তার মধ্যে তারা টুকটাক কথা বার্তাও চালাতে লাগলো। রাত হলেও বস্তি বোধ হয় জেগে থাকে। গা’লাগা ঘর, কথাবার্তা নিঃশ্বাস প্রশ্বাস কানে আসে। রাত হলে আরও বেশি শোনা যায়। সুবোধ ভাবছে একটু রিস্ক নিয়ে রাতটা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পড়ে থাকলেই হতো। পরের দিন, মানে দিনের বেলায় ভাবার সময় পাওয়া যেতো।

ঊর্মিলার কথায় এতোটা ভয় না পেলেও চলতো। আসলে খুব সাহসী সে কোনকালেই ছিল না। অবস্থার বিপাকে আজ তার এই অবস্থা। তার উপর নতুন দেশ—সব কিছুই নতুন, অজানা। তাছাড়া ভয়-তো সেই কবে থেকেই তার পিছু নিয়েছে। প্রাণের ভয়। এর কোন আলাদা কোনও ব্যাখ্যা নেই তার কাছে। সবটাই তার কাছে এখন প্রাণ রক্ষার তাগিদ। কথায় কথায় ঊর্মিলা জানিয়ে দিল যে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তার পরিচয় হবে ঊর্মিলার দূর সম্পর্কের ভাই। ওপার থেকেই এসেছে। ওপার থেকে এখানে অনেকেই আসে, যায়। চোরাই পথে এলো কি পাসপোর্ট করে এলো, তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। ঊর্মিলাও একসময় ওপারেরই ছিল। যেন এককালে তাদের অবস্থা যে ওপারে একপ্রকার ভালই ছিল তা আজ ভাইকে দেখে বোঝা যায়। একটা আবছা প্রমাণ আর কি। দিন সবার সব সময় সমান থাকে না। তাই ঊর্মিলা আজ এই রকম। এতে কেউ সন্দেহ করবেনা।

জীবনের এই স্রোত তাদের কোন দিকে টানছে তারা পরিষ্কার বুঝতে পারছে না। বোঝার মতো ফুরসতও নেই তাদের। ঊর্মিলা এক রকম গা’য়ের জোরেই চলছে। যা তার একমাত্র পুঁজি। আর সুবোধ মাঝে মাঝে টের পাচ্ছে নিজের কাছেই নিজের অপরিচিত হয়ে ওঠার অনুভূতি।

দেশত্যাগ, ভাঙা সমাজ, ক্ষয়িষ্ণু মূল্যবোধ, একটা অবয়বহীন স্বাধীনতা, একটা আত্মকেন্দ্রিক জৈব উত্থান—এ-সব কিছুর মধ্যে থেকেও কেমন করে যে সে ছিন্নমূল হয়ে পড়লো—সুবোধ চেষ্টা করে উত্তর খোঁজার। পায় না।

জীবন, জীবনের এই সব কথা বলতে বলতে বা কখনো কথা না-বলা নৈঃশব্দ্য'এর ভেতর তারা এক সময় গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল।
[চলবে...]

আপনার মন্তব্য