সুব্রত আচার্য’র চারটি কবিতা

 প্রকাশিত: ২০১৫-০৫-০৯ ২২:৩৫:২৪

 আপডেট: ২০১৫-০৫-০৯ ২২:৪১:৩৮

সমাজ সচেতন কবি সুব্রত আচার্য দেখেন অসভ্যদের রাজত্ব। সেখানে সবটাই বাণিজ্য মনে হয় তাঁর কাছে। তাঁর ভাষা:

যত্তসব!

যত্তসব অসভ্যদের রাজত্ব!
প্রশ্নবিদ্ধ গণতন্ত্র
প্রেম-প্রণয় মাখামাখি সবটাই বাণিজ্য
রাজপথে ধর্ষিত ভিন্ন মত
-কে দেখাবে পথ এখন
দিশা নেই!

আগামী কোথায়, অতীত লজ্জা দিচ্ছে
ভন্ড যত্তসব অন্ধ-ভিরু-কাপুরুষ
সিংহাসনে বসে তোয়াজ
কানে কানে কানাকানি লোভীরা
মধু খেকো!
-যত্তসব অসভ্যদের রাজত্ব!


কামহীন

দেহ নেই তবুও শরীর
মনেও নেই হৃদয়!
তুমি আছো সেই তুমিতে
প্রচ্ছন্ন উদাস পটভূমিতে।

লজ্জা-ঘৃণায় আতঙ্ক
সংকচিত এখন মানবিক-বোধও!

প্রতিবাদে, প্রতিশোধে নির্বিকার,
কামহীন পুরুষ যেন আমি।

-হৃদয় নেই
-দেহ নেই
শরীরই আছে শুধু!

 

রোজনামচা

রোজই তো সূর্য উঠে
চাঁদের আলো-আঁধারির খেলা চলে
মায়াময় হয়ে সাক্ষী হয় সময়ের তটে।

রোজই প্রজাপতিরা উড়ে রঙ-রুপালি হয়ে
রেণু-পায়ে জড়িয়ে পরাগায়ণ-
ফুল ইতিহাস বুনে।

রোজই তো চোখ ভিজে
সুখে-কষ্টে অহঙ্কারে গর্বে, প্রতারণায়!
শুকনো ডালের খড়খড় শব্দ-
কাঠবিড়ালী রোজই শোনে।

রোজই তো কথা হয়-
অনুভূতি আবেগ উদ্বেগময়!
আলতো ছোঁয়ায় শিহরণ তাল মেলায়
-এই সময়ে।
অনুরাগে চুপ হয়ে যাওয়া ক্ষণে।


ছিন্নভিন্ন

মনের ওপর মন রেখেছি
প্রাণের ওপর প্রাণ।
সুরের সাথে ঘর করেছি
গানের শরীরে গান।

ছিন্ন হয়েও ভিন্ন নহে
এই জগৎ সংসারি
আমার আমিতে ডুবিয়া ভাবি
প্রেমেই অনাহারি।

সূর্য-চাঁদ, সন্ধ্যাও বিষাদ
দুপুর-নূপুর পদ্মে!
নমিয়া মরি, কথিয়া গড়ি
মালা হয়ে রই গদ্যে।

আপনার মন্তব্য