বসন্তের কবিতা

 প্রকাশিত: ২০১৮-০২-১৩ ২২:৪৮:০০

সঞ্জয় আচার্য:

এই বসন্তে, দিনান্তে

আমার এ শহরতলিতে
বসন্তবায় ফিরছে আবার
দখিন হাওয়ার তুলিতে।
এসে গেছে দ্বারে, ধূলিমাখা রোদ
সুরভিত কাঞ্চন,
পরাগ জড়ানো স্বপ্ন মাখানো
বনানীর যৌবন।

একটু দূরে পল্লীগ্রামে
বসন্তঘোষ ডাকছে লুকিয়ে
‘কুহু’‘কুহু’-লাগে যে মরমে।
পলাশের বনে রাশি রাশি হাসি
নবকিশলয় চঞ্চল
নীল শাড়ি পরে অভ্র কেমন
ছড়ায়েছে তার অঞ্চল।

 

ফাগুনের বাউল

শিরীষ ডালে মন্দ দোলন চুলবুলে বুলবুল,
উছলে উঠে মনের বনে নানান বনফুল।
শুকনো পাতার পাঞ্জরে আজ ঘূর্ণি দুরন্ত,
পত্রবাহক হয়ে এল মধুর বসন্ত।
গুঞ্জরিত মহুল-পিয়াল করিতকর্মা অলি,
অবোধ্য সব কথায় বলা প্রেমের পত্রাবলি।
ঢেউ খেলে যায় বিরলকথন দিনের পরিশ্রম,
ঝড় তোলে যায় শিলালিপির গুজরিপঞ্চম।
শিশমহলের প্রাচীর বেয়ে বাড়ছে তৃণলতা
রুক্ষ দিনেও খুঁজি অভূতপূর্ব শ্যামলতা।
বাউল হৃদয় সুরের জালে বন্দী, অদূরদর্শী
শুকশারী তমাল হিজল মনের পাড়াপড়শি।

 

মধু উৎসব

মাদল বাজে ময়ূর নাচে কদম গাছের তলে
ছুটছে সবাই বান এসেছে দঙ্গলে মঙ্গলে।

‘কুহু’‘কুহু’ ডাকছে কোকিল পরান জীয়ন্ত
শিমুল শাখায় পলাশ বনে লাগল বসন্ত।

আজ ঘুম ভুলেছি রাত জেগেছি ঝুমুর নাচের ছন্দে
আজ হৃদয় আমার যায় জুড়িয়ে বকুল বনের গন্ধে।

আজ হাত বাড়িয়ে ধরতে যে চাই নীল আকাশের শশী
কদমতলায় কার নামেতে বাজে সরল বাঁশি।

পরাগ দিয়ে সাজাই মনের কল্পনাতে ছবি
ভাঙ খেয়েছি তাইতো বলি আমিও প্রেমের কবি।

লিখব তবু ইচ্ছেমত মনটা যা চায় তা
দখিন হাওয়ায় জানিয়ে দিব প্রেমের বারতা।

আপনার মন্তব্য