মুখোশ

 প্রকাশিত: ২০১৯-০২-১৯ ১৬:২৬:৫৪

জহিরুল হক মজুমদার:

অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান বাসায় ঢুকার মুখে দারোয়ান বলে উঠল, আপনি জহির স্যার না! রাজ্জাক স্যারতো এখনো বাসায় ফেরেন নি।

আব্দুর রাজ্জাক খান মেজাজ খারাপ করে বললেন, তুই কি আমার সাথে মশকরা করিস!

দারোয়ান থতমত খেয়ে গেল।

-না ভাইজান। কিন্তু আপনি জহির স্যারের মুখোশ পরেছেন। একদম জহির স্যার এর মত।

-আবারও মশকরা! বেয়াদব কোথাকার!

আব্দুর রাজ্জাক খান রাগে গরগর করতে করতে ঘরে ঢুকেন। আর দারোয়ান অবাক হয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকে।

রাজ্জাক খান ঘরে ঢুকে আলো জ্বালেন। শার্ট প্যান্ট খুলে হাত মুখ ধোয়ার জন্য বাথরুমে ঢোকেন।

বাথরুমের আলো জ্বালাতেই আয়নার দিকে চোখ পড়ে রাজ্জাক খানের। তাঁর স্থির হতে কয়েক মিনিট লেগে যায়। কিন্তু তিনি সাহসী মানুষ। তাই মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে তিনি কল করেন।

-জহির, কেমন আছেন?

-ভাল আছি রাজ্জাক ভাই।

-আপনার কথা মত ঘটনা ঘটে গেছে।

-কী ঘটনা রাজ্জাক ভাই?

-আপনি বলেছিলেন শিক্ষক লাউঞ্জ থেকে বের হবার সময় আয়না দেখে বের হবার জন্য। এখন দেখছি ঘটনা সত্য। আমার মাথার জায়গায় আপনার মাথা।

-আপনি দুষ্টামিকে সিরিয়াসলি নিলেন রাজ্জাক ভাই। হা হা।

-দুষ্টামি না জহির। আপনি দয়া করে একটু আয়নার সামনে যান।

জহির আয়নার সামনে গিয়ে অবাক হয়ে যায়। তার মাথার জায়গায় আব্দুর রাজ্জাক খানের মাথা। চুলবিহীন টাকভরা ফরসা একটা মাথা।

আপনার মন্তব্য