মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১৭ সদস্যের একটি গণতদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এবং এ উপলক্ষে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামি ৩০ অক্টোবর। এরপর ২০ নভেম্বর প্রকাশ হবে রিপোর্ট।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে আহ্বায়ক করে গঠিত গণতদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- চিকিৎসক ডা. ফজলুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আহমেদ কামাল, গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, সামিনা লুৎফা, তানজিম উদ্দিন খান, শিক্ষাবিদ এ এন রাশেদা, আইটি বিশেষজ্ঞ ফিদা হক, প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, কলামিস্ট আবুল মকসুদ, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, গায়ক মাহমুদুজ্জামান বাবু এবং ডা. শাকিল আকতার প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, 'আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে এ কমিটি বিস্তারিত কার্যক্রম পরিচালনার দিক নির্ধারণ করবে। কমিটি ২০ নভেম্বর তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে।'

তিনি আরও বলেন, '৩০ অক্টোবর টিএসসিতে এ নিয়ে গণশুনানি করা হবে। ওই গণশুনানিতে সকলেই অংশগ্রহণ ও নিজস্ব বক্তব্য দিতে পারবেন; সরকারও চাইলে তাদের প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। এরপর আগামী ২০ নভেম্বর এই কমিটি জনসম্মুখে রিপোর্ট পেশ করবে, যেহেতু কমিটি জনস্বার্থে গঠিত হয়েছে।'

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, 'গণতদন্ত কমিটি কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর মধ্যে রয়েছে- প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ তুলেছে তার সত্যতা নিরূপণ করা। এক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হবে।'

প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা হয়; ওই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে আবারও পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

টানা ২৭ দিন আন্দোলনের পর গত ১৪ অক্টোবর থেকে আমরণ অনশন শুরু করে তারা। পরদিন কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সেখানে গিয়ে গণতদন্ত কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়ে তাদের অনশন ভাঙান।