সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ অক্টোবর, ২০১৫ ১০:৩০

মিনায় পদদলনে দুই সহস্রাধিক হাজির মৃত্যু

বাংলাদেশের ১৩৭ জন হাজিসহ গত মাসে সৌদি আরবে মিনা ট্র্যাজেডিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত হাজির সংখ্যা কমপক্ষে ২ হাজার ১১০ বলে সোমবার এক হিসাব প্রকাশ করেছে এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। হজের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতি মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার বিষয়ে সৌদি আরবের কর্মকর্তারা এক আলোচনায় বসার পর মৃতদের এই সংখ্যাটি প্রকাশ পায়।

এ বছর হজ পালন করতে আসা ১৮০ টিরও বেশি দেশের মধ্যে ৩০ টি দেশের রাষ্ট্রিয় সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন ও কর্মকর্তাদের মন্তব্য থেকে এপি মৃতদের সংখ্যাটি নির্ধারণ করে।

ক্রাউন প্রিন্স এবং রাজ্যের আভ্যন্তরিণ মন্ত্রী মোহাম্মদ বিন নাইফ বিন আব্দুল আজিজের তত্ত্বাবধানে সোমবারের এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় বলে সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) সুত্রে জানা যায়। মৃত হাজিদের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে কোন কর্মকর্তার প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করেনি এসপিএ। সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে দেশটির পক্ষ থেকে মৃতের সংখ্যা ৭৯৬ এবং ৯৩৪ বলে জানিয়ে আসা হচ্ছিল।

ক্রাউন প্রিন্স মর্মান্তিক এই ঘটনার তদন্তের অগ্রগতির বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করেছেন বলে এসপিএ’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে কমিটির সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। শহীদদের গ্রহণ করার জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহ’এর নিকট দোয়া প্রার্থনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

রাজা সালমান সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখে পবিত্র নগর মক্কার নিকটেই অবস্থিত মিনায় ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন। মক্কায় ক্রেণ দূর্ঘটনায় ১১১ জন হাজির মৃত্যুর পরের মাসেই হজের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতি এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। চলতি বছরের শুরুতে শাসনভার গ্রহণ করা রাজা সালমানের জন্যও তার তত্ত্বাবধানে প্রথম হজটিতেই এ দুই দুর্ঘটনা গভীর কলঙ্ক হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

নিহত হাজিদের মধ্যে সর্বাধিক ৪৬৫ জন হাজি মারা গেছেন ইরানের। আফ্রিকারও অনেক হাজি নিহত হয়েছেন। নাইজেরিয়ার দাবি মতে ১৯৯ জন, মালি ১৯৮ জন, ক্যামেরুনের ৭৬ জন, নাইজারের ৭২ জন সেনেগালের ৬১ জন এবং আইভরি কোস্ট ও বেনিন দুটি দেশেরই মারা গেছেন ৫২ জন করে।

মিশরের ১৮২, ইন্দোনেশিয়ার ১২৬. ভারতের ১১৬, পাকিস্তানের ১০২, ইথিউপিয়ার ৪৭, চাদের ৪৩, মরোক্কোর ৩৩, সুদানের ৩০, আলজেরিয়ার ২৫, বুরকিনা ফাসোর ২২, তানজানিয়ার ২০, সোমালিয়ার ১০, কেনিয়ার ৮, ঘানা ও তুরস্কের ৭ জন করে, মিয়ানমার ও লিবিয়ার ৬ জন করে, চিনের ৪, আফগানিস্তানের ২ এবং জর্দান ও মালয়েশিয়ার এক জন করে হাজি মারা যান।

পূর্বের সবচেয়ে মর্মান্তিক প্রাণঘাতি দুর্ঘটনাটি ঘটেছিলো ১৯৯০ সালে। সেসময় পদদলিত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ৪২৬ জন। সংবাদ সূত্র : চ্যানেল আই অনলাইন। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত