সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:১২

অর্জন শতভাগের কাছাকাছি, দাবি তারানার

৯০ দিনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ শুরুর পর এবার সে লক্ষ্যে শতভাগের কাছাকাছি অর্জন বলে দাবি করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। একই সঙ্গে সরকারের লক্ষ্য অনুসারে কাজ না করলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করার ওপর পদোন্নতি, পদায়ন, বদলি নির্ভর করছে। যারা পারেনি তাদের খাতায় মাইনাস লেখা থাকবে।’

দায়িত্ব নেয়ার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ৯০ দিনের কর্ম পরিকল্পনা বেঁধে দেন তারানা হালিম। গত জুলাইয়ের ১৭ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমার এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলেন করেন তিনি। সেখানেই কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।

গত ১৪ জুলাই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। একই মাসের ১৭ তারিখ নব্বই দিনের টার্গেট ঘোষণা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তারানা হালিম আরো বলেন, ‘আমরা পরিবল্পনা অনুসারে অনেকটাই এগুতে পেরেছি। আমি মনে করি, গড়ে অর্জন ১০০ শতাংশের কাছাকাছি।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পেছন থেকে একটা ধাক্কা দেয়া প্রয়োজন যাতে তারা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয়। দায়িত্ব নেয়ার পর কর্মকর্তাদের টার্গেট অনুযায়ী পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এবার নিজের মতো করে টার্গেট ঠিক করবো।’

বেসরকারি মোবাইল অপারেটরগুলোর গ্রাহক সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে না- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলেন তিনি বলেন, ‘আগামী ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে টেলিটক প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় পৌঁছাবে।’

অবৈধ ভিওআইপি নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধ ভিওআইপি ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করলেও তাতে সাড়া মেলেনি।’

তারানা হালিম জানান, টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) ল্যাপটপ সংযোজন ও বাজারজাত করার টার্গেট ছিল ১ হাজার ৭০০টি, করা হয়েছে ১ হাজার ৭৬৮টি। এই ক্ষেত্রে ১০৪ শতাংশ অর্জন। সংস্থাটির টেলিফোন সেট, মোবাইল চার্জার ও ব্যাটারি, পিএবিএক্স সম্প্রসারণ ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও শতভাগ টার্গেট পূরণ হয়েছে বলে জানান তিনি।

খুলনায় অবস্থিত বাংলাদেশ কেবল শিল্প লিমিটেড অপটিক্যাল ফাইবার ক্যবল উৎপাদন, কপার কেবল উৎপাদন, এইচডিপি সিলিকন ডাক্ট পাইপ উৎপাদন, প্লান্ট স্থাপনে শতভাগ টার্গেট অর্জন করেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া বিটিসিএলের ১২টি টার্গেটের মধ্যে বেশিরভাগই একশ শতাংশের বেশি পূরণ হয়েছে। এর মধ্যে আটটি উপজেলার ৬৯টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল নেটওয়ার্ক উন্নয়নে যন্ত্রপাতি স্থাপনে ১৩৮ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করেন।

ডাক বিভাগের ছয়টি টার্গেটের মধ্যে তিনটি শতভাগ এবং তিনটি ৯৫ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে।

মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর নব্বই দিনের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) অগ্রগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেনহ প্রতিমন্ত্রী।

সবচেয়ে বেশি টার্গেট ছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। এর ১৩টি টার্গেটের মধ্যে মাত্র দুটিতে শতভাগ অর্জন হয়েছে। বাকি ১১টি টার্গেটে ৬০ থেকে ৯৫ শতাংশ অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ।

এর বাইরে বিএসসিএল (বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লি.) আটটি টার্গেটের মধ্যে ছয়টিই শতভাগ পূরণ করতে পারেনি। টার্গেট পূরণে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে টেলিটক। এই প্রতিষ্ঠানটির ৮ টি টার্গেটের মধ্যে সাতটিই পূরণ করতে পারেনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত