সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৭:০০

ওলামা লীগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান পরিস্কার করা উচিত

ওলামা লীগ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তারা বলেছে ওলামা লীগ আদৌ সরকারের অঙ্গসংগঠন কিনা এবং তাদের বক্তব্য সরকারি দলের বক্তব্য কিনা সে ব্যাপারে সরকারি দলের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা থাকা উচিত। তাদের অবস্থান পরিস্কার করা উচিত।

সোমবার বেলা ১২টায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা।

সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে সংগঠনের বক্তব্য পড়ে শোনান বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।

বক্তব্যে বলা হয়, ওলামা লীগ ধর্মীয় লেবাস লাগিয়ে এবং সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের পরিচয়ে নিজেদেরকে পরিচিত করিয়ে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে এবং ৭১-র মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে হানাদার দখলদার বাহিনীর সহযোগী পাকিস্তানি দালালদের সুরে কথা বলছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ব্যাহত করতে সচেষ্ট রয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ওলামা লীগ প্রশ্ন তুলেছে, সংখ্যাগুরু মুসলমানের দেশে হিন্দু প্রধান বিচারপতি (এসকে সিনহা) কেন? তারা প্রধান বিচারপতির অপসারণ দাবি জানিয়েছে। এই দাবিকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মনে করে রাজাকারদের দাবি।

সরকারি চাকরিতে নিয়োগ-পদোন্নতিতে ধর্মীয় বৈষম্যের খানিকটা ইতিবাচক পরিবর্তন ওলামা লীগের ভাষায় ‘হিন্দু তোষণ’, পাঠ্যপুস্তক থেকে হিন্দু লেখকদের লেখা বাতিলের দাবি, ‘পহেলা বৈশাখ’ বিরোধী বক্তব্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে ‘ইসলামী বাংলাদেশ’ বলা ইত্যাদি নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ওলামা লীগ সংবিধান পরিপন্থি কাজ করছে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

এছাড়াও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবি- ওলামা লীগ বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার বীরউত্তম সি আর দত্তের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘সরকারের নাম ভাঙিয়ে খাচ্ছে ওলামা লীগ। এমনকি তাদের কাছে নাকি সেক্রেটারিয়েটকে শাখারি বাজার মনে হয়। আমরা দাবি করি ওলামা লীগ সম্পর্কে সরকারের একটা সুস্পষ্ট বক্তব্য থাকা প্রয়োজন।’

হিন্দু বৌদ্ধ ‍খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাইতো ছিলো ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। তাই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কমল দেবনাথ, অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী, মিলন কান্তি দত্ত, দপ্তর সম্পাদক দীপঙ্কর ঘোষ প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত