সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ মার্চ, ২০১৬ ১৩:৪২

১০০০ টাকার মুচলেকায় মাহফুজ আনামের জামিন

জরুরি অবস্থার সময় যাচাই না করে শেখ হাসিনার ‘দুর্নীতির’ খবর প্রকাশ করার অভিযোগে একটি মানহানির মামলায় রংপুরের আদালতে হাজির হয়ে জামিন পেয়েছেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম।

একশ কোটি টাকার মানহানির এই মামলায় মঙ্গলবার সকালে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হন ডেইলি স্টার সম্পাদক। তার পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী মোয়েজ্জেম হোসেন।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) প্রায় দশ মিনিট শুনানি শেষে এক হাজার টাকা মুচলেকায় বিচারক শফিউল আলম জামিন মঞ্জুর করেন। মামলাটি মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন মণ্ডল ১৫ ফেব্রুয়ারি মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন।

শুনানিতে বিবাদীপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী, আব্দুর রশিদ চৌধুরী, নির্মল চন্দ্র মাহাতা, মুনীর চৌধুরী, আবু তাহের আলী, রেজিনা ইয়াসমীন, আমজাদ আলী ও কমলকুমার মজুমদার।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে এক-এগারোর সময় সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের বিচ্যুতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মাহফুজ আনাম তাঁর পত্রিকায়ও এমন ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছিল বলে স্বীকার করেন। এর পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে ‘ডেইলি স্টার’-এর সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে তাঁর (মাহফুজ আনাম) বিচার চান।

এক দিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে কয়েকজন সাংসদ ‘ডেইলি স্টার’ বন্ধ করা এবং মাহফুজ আনামের পদত্যাগ ও বিচার দাবি করেন। এর পরদিন থেকে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়। দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে সারা দেশে ৭৮টির মতো মামলা দায়ের করা হয়।

বেশির ভাগ মামলার অভিযোগও প্রায় একই রকম। অভিযোগে বলা হয়, এক-এগারোর সময় একটি গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনা বাস্তবায়নে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে মাহফুজ আনাম তাঁর সম্পাদিত পত্রিকায় মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য প্রকাশ করেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এ কারণে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয়। এতে তাঁর দল ও মামলার বাদীদের মানহানি হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত