নিউজ ডেস্ক

০৪ মার্চ, ২০১৬ ০৯:১৩

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হচ্ছেন আ'লীগের ১৩ জন

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ের পথে রয়েছেন। এই ধাপে ৬৪৭টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী হয়েছেন তিন হাজার ১০৮ জন। এরমধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এক হাজার ৫৫৫ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এক হাজার ৫৫৩ জন। গতকাল নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার হিসাব অনুযায়ী এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী জানান, প্রথম ধাপে একক প্রার্থী রয়েছেন এমন ইউপিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেসরকারিভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এর সঠিক সংখ্যা এখনও ইসি কার্যালয়ে পৌঁছেনি।

তবে ইসির সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ৭৩৪ ইউপিতে গত ২২ মার্চ ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২ মার্চ ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীর সংখ্যা সব মিলিয়ে ৬০ জনের বেশি হবে।

এদিকে দ্বিতীয় ধাপে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ২ মার্চ। মনোনয়নপত্র জমায় বাধা দেওয়ার কারণে ফেনীর পরশুরামে একদিন সময় বাড়লেও নতুন কোনো মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। ওই উপজেলার তিনটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে একজন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ১৩ জন পৌঁছেছে। পরে বাছাই শেষে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ইসির হিসাব অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ৬৪৫, বিএনপি ৫৮৭, জাতীয় পার্টি ১৭৫, জাসদ ২৪, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৯৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাকের পার্টি ৬টি করে, সিপিবি ও জাতীয় পার্টি (জেপি) ৫টি করে, এনপিপি, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম দুটি করে এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ন্যাপ ও বিকল্পধারা বাংলাদেশ একটি করে ইউপিতে প্রার্থী দিয়েছে।

ফেনীর পরশুরামের তিন ইউপিসহ (চিখিলা, বক্সমাহমুদ ও মির্জানগর) দ্বিতীয় ধাপের মোট ১৩টি ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। বাকি ১০ ইউপির মধ্যে রয়েছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের দিঘীরপাড়, গোপালগঞ্জ সদরের বোড়াশী, বৌলতলী, দুর্গাপুর, কাঠি, জয়পুরহাট সদরের ধলাহার, দোগাছী ও জামালপুর, ভোলা সদরের কাচিয়া ও মাদারীপুর সদরের ঝাউদি।

আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকা ১৩টি ইউপিসহ মোট ৬৩টি ইউপির চেয়ারম্যান পদে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। বাকি ৫১টি ইউপি হলো গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ও রামজীবন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার আমতলী, বান্ধাবাড়ী, হিরণ, কালাবাড়ী, কুশলা, পিঞ্জুরী, রাধাগঞ্জ, রামশীল, সাদুল্লাপুর, শুয়াগ্রাম, গোপালগঞ্জ সদরের চন্দ্রদিঘলীয়া, গোবরা, গোপীনাথপুর, জালালাবাদ, কাজুলিয়া, করপাড়া, লতিফপুর, মাঝিগাতি, নিজরা, পাইককান্দি, রঘুনাথপুর, সাহাপুর, সাতপাড়, সুকতাইল ও উরফি, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পাঁচ নম্বর ও সীতাকু ের পাঁচ নম্বর, জামালপুর সদরের বাঁশচড়া, জয়পুরহাট সদরের পরাণপৈল, ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলের ধর্মগড় ও নেকমরদ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর আলাদিপুর, বিরামপুরের দিওড়, খানপুর ও পলিপ্রয়াগপুর, ফরিদপুর সদরের ফরিদপুর, মাদারীপুর সদরের বাহাদুরপুর, ছিলারচর, ধুরাইল, কালিকাপুর, শিরখারা, দুধখালী, কেন্দুয়া ও মোস্তফাপুর, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানের চিত্রকোর্ট ও রাজনগর, রংপুরের পীরগঞ্জের সেনেরহাট এবং সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল ও ইছাকলস।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত