নিউজ ডেস্ক

০৭ মার্চ, ২০১৫ ১৬:০৮

আবারও ১০দিনের রিমাণ্ডে মান্না

এক মামলার রিমাণ্ড শেষ হতে না হতেই অন্য মামলার রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এবারের রিমাণ্ড আগের মতো ১০ দিন। আগের রিমাণ্ড ছিল সেনা বিদ্রোহের উস্কানির অভিযোগে আর এবারের রিমাণ্ড রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফিরোজ আহমেদ শনিবার বিকালে মান্নাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে চাইলে ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক তা মঞ্জুর করেন।

এর আগে সেনা বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলায় ২৫ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মান্নার রিমান্ড চলাকালেই গত বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়, যাতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাকেও আসামি করা হয়।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নার সঙ্গে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খোকার টেলিফোন আলাপের একটি অডিও ক্লিপ গত ২২ ফেব্রুয়ারি একটি নিউজ পোর্টাল প্রকাশ করলে তা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়।

ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপকথনে ঢাকার সাবেক মেয়র খোকার সঙ্গে আলাপচারিতায় সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলা নিয়ে মান্নাকে কথা বলতে শোনা যায়।একই দিন অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গেও মান্নার কথোপকথনের আরেকটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ, যাতে চলমান পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়ে তাকে আগ্রহ প্রকাশ করতে শোনা যায়।

চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে জাতীয় সংলাপের অন্যতম উদ্যোক্তা মান্নার এই কথোপকথন ফাঁসের পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
টেলিকথোপকথনে সেনা বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে প্রথম দফায় রিমান্ডে পায় পুলিশ।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলের চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় মান্না সংলাপের আহ্বান জানালে প্রাথমিকভাবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তাঁকে সমর্থন করলেও টেলিফোনে ফাঁস হওয়া কথোপকথনে নাশকতার পরিকল্পনা প্রকাশ হলে সংলাপ সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে ভাঁটা পড়ে এবং সুশীল সমাজের বড় অংশটি মান্নার প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত