সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ মে, ২০১৬ ১০:৫৮

অধ্যাপক রেজাউল হত্যায় গ্রেপ্তার শিবির নেতার মৃত্যু

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলার গ্রেপ্তার শিবির নেতা হাফিজুর রহমান কারান্তরীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভোর সাড়ে চারটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাফিজুর। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোশারফ হোসেন এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ১৭ মে বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় হাফিজুরকে হাসপাতালে আনা হয়।

গত মঙ্গলবার থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি রাবি’র লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও মহানগরীর ১৯নং ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

কারাকর্তৃপক্ষ বলছেন, হাফিজ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। ওই রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

হাফিজুরের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়তে পারেন : অধ্যাপক রেজাউল হত্যা : আটক হাফিজুর শিবির নেতা

২৮ এপ্রিল হাফিজুর রহমানকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আদালত তাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ড. রেজাউল হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে সবার আগে হাফিজুর রহমানসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

তবে গত ১৬ মে এই ঘটনায় আটক জেএমবির ৪ সদস্যের একজন মাসকাওয়াথ হাসান সাকিব ওরফে আব্দুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে মাসকাওয়াথ দায় স্বীকারের পাশাপাশি শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যার বিস্তারিত বিবরণ দেন।

কর্মস্থলে যাওয়ার পথে গত ২৩ এপ্রিল সকালে নিজ বাসার কাছে খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী।

ওইদিন বিকেলে তার ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে বোয়ালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এ পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত