সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ জুন, ২০১৬ ১২:১৮

‘বাবা থাকলে মাকে ওরা মারতে পারতো না’

জিইসি মোড়ের ইকুইটি সেন্ট্রিয়াম ভবনের ‘সেভেন ডি’ অ্যাপার্টমেন্টের পরিবেশটা বেশ থমথমে। এই অ্যাপার্টমেন্টেই থাকতেন পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী-সন্তানেরা। বাসাটিতে খুব ভিড় আজ। বন্ধু-বান্ধব, চেনা-আধচেনা-এদের কেউ পুলিশ কর্মকর্তা, কেউ বা তাদের স্ত্রী তো আবার কেউ ভবনের পাশের অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা।সবার জল পড়ছে চোখ থেকে, নড়ছে না শরীরগুলো।

এমনিতেই প্রায় সময়ই এই বাসাতে আত্মীয় স্বজনদের ভিড় থাকতো। তবে সেসব ছিল আনন্দের। আজকের পরিবেশটা বেশ ভারিই। শোকের মনস্তাপ চলছে ওখানে। এর মধ্যে একটা ছবির ফ্রেম প্রায় সবার হাতে হাতে ঘুরছে। এই ছবিটা বাবুল আকতার, তার দুই সন্তান ও তার সদ্য নিহত স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর।

আদতে বছর সাড়ে চারের ছোট্ট তাবাস্মুম তাজনীম তাপুরের ওসব বুঝার বয়স এখনও হয়নি। তবে আজ বাসার পরিস্থিতি দেখে, বড় ভাই আকতার মাহমুদ মাহির মায়ের জন্য হাহাকার দেখে, আশপাশে প্রিয় মা’কে না দেখে সেও বুঝে গেছে মা তার আর নেই।

এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর কোলে চুপটি মেরে নিশ্চুপ বসে থাকা তাবাস্সুম তাজনীম তাপুর শুধু একটি বারই মুখ খুলল।সে বিড়বিড় করে বলতে থাকে, ‘বাবা থাকলে আজ ওরা মাকে মারতে পারত না।’

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে (৩৩) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত