সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জুন, ২০১৬ ০২:১০

বাবুল অাক্তারকে সাবধান করা হয়েছিল আগেই

জঙ্গি বিরোধী তৎপরতার কারণে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় ৫ মাস আগেই যে ১১টি পুলিশ পরিবারকে সতর্ক করেছিল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স তাদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ওই সময়ের এডিসি বাবুল আক্তার।

কয়েকদিন আগে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সংযুক্ত হন তিনি। পরিবারের সদস্যরা আপাতত থেকে যান চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় ভাড়া করা এপার্টমেন্টে। সকাল ৭টার কিছু আগে বাসার সামনে ৬ বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে স্কুল বাসের অপেক্ষায় ছিলেন এসপি বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা।

সেসময় মোটর সাইকেলে আসা ৩ সশস্ত্র জঙ্গি তাকে ঘিরে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপাতে থাকে। মাটিতে পড়ে গেলে ৩ রাউন্ড গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায় জঙ্গিরা। এরপর দ্রুতই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আলামত সংগ্রহ করে ক্রাইম সিন। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

সিএমপি'র গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মোক্তার হোসাইন বলেন, আপনারা অনেকেই জানেন বাবুল আক্তার জঙ্গি দমনে কাজ করেছেন। তার এবং তার পরিবারের ওপর আগে থেকেই হুমকি ছিল। এজন্য তাকে সাবধান হয়ে চলতে বলা হয়েছিল।

হত্যাকাণ্ডটি জঙ্গিদেরই কাজ বলে মনে করছে পুলিশ। সিএমপি'র উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুল হাসান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ধরণের সঙ্গে আগের হত্যাকাণ্ডগুলোর মিল পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু আমরা জেএমবি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থায় আছি, সেক্ষেত্রে আপাতত এটা পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।’

“আর বাবুল আক্তার কোনো সাধারণ পুলিশ অফিসার নন, তিনি একজন অসাধারণ পুলিশ অফিসার। নিজের ব্যক্তি জীবন, জীবনের মায়া ত্যাগ করেও তিনি অনেক বড় বড় অপারেশন পরিচালনা করেছেন। সব মিলিয়ে তার প্রতি আলাদা আক্রোশ থাকাটা স্বাভাবিক।”

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হাটহাজারীতে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালিয়ে আলোচনায় আসেন ওই সময়ের সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার বাবুল আক্তার। অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ পদক এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক। সাহসিকতার জন্য ২০১২ সালে পান সিঙ্গার-চ্যানেল আই কিংবদন্তী পুরস্কার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত