সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জুন, ২০১৬ ০২:১৭

এক মিনিটেই সব শেষ

আলোচিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যায় মাত্র এক মিনিট সময় নিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। আর নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় তিনজন। এর মধ্যে দু’জন ছিল মোটরসাইকেল আরোহী, তাদের সঙ্গে পরে যোগ দেয় আগে থেকেই ঘটনাস্থলে থাকা আরও একজন।

রোববার সকাল ৭ টার দিকের এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন জিইসি মোড় সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে উঠে এসেছে খুনের চিত্র।

যদিও প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ধারণা করছে, খুনের সময় ঘটনাস্থলের আশপাশে আরও কয়েকজন থাকতে পারে। আপাতত মিশনে অংশ নেওয়া ওই তিনজনকেই খুঁজছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ জানান, সড়কের গোল পাহাড়ের দিক থেকে ছেলেকে স্কুল গাড়িতে তুলে দিতে জিইসি মোড় আসছিলেন মাহমুদা খানম মিতু। আর মোটরসাইকেলে করে খুনিরা জিইসি মোড় থেকে গিয়ে তার সামনে হাজির হয়। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার পর এক যুবক প্রথমে ছুরিকাঘাত করে, আরেক যুবক গুলি করে চলে যায়। সময় নেয় ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ড।

তিনি আরও বলেন, হত্যার ধরন দেখে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা আগে থেকেই ঘটনাস্থল রেকি করেছিল। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ গজ দূরে বাসা থেকে বের হয়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে কখন আসবেন, তা নিশ্চয় দুর্বৃত্তরা আগে থেকে খোঁজখবর রাখছিল। মাহিকে নিয়ে জিইসি মোড়ে পৌঁছার আগেই ওয়েল ফুড নামক দোকানের সামনে মোটরসাইকেলে করে আসে খুনিরা।

চলে যাওয়ার সময়কার ফুটেজে দেখা যায়, যে গাড়ি চালাচ্ছিল, তার মাথায় হেলমেট রয়েছে। বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫। তার পেছনে দু’জন বসা ছিল। মাঝখানে বসা যুবকের হাতে ছুরি ছিল। পেছনে বসা তৃতীয়জনের হাতে ছিল একটি পিস্তল।

প্রসঙ্গত, রোববার সকালে বাসার অদূরে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন জিইসি মোড়ের ওয়েল ফুডের কাছাকাছি এলাকায় ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দিতে গিয়েছিলেন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু।

তবে ছেলেকে বাসে তুলে দেওয়া আর হয়নি। আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তদের হামলায় খুন হন তিনি।

মাহমুদাকে হত্যার এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে আসা তিন ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ সুপারের স্ত্রী খুনের ঘটনায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আছে বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত