সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জুন, ২০১৬ ১৬:৫৯

‘ওই নার্স তো প্রেগন্যান্টই ছিল না’

ব্যাচভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওকালে পুলিশের লাঠিচার্জে সালমা আক্তার (২৭) নামে এক নার্সের গর্ভপাত হয়েছে এমন সংবাদকে প্রপাগান্ডা বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ওই নার্স নাকি প্রেগন্যান্টই ছিলেন না বলে জানালেন মন্ত্রী। 

সোমবার দুপুরে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয় বাস্তবতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।

নাসিম বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত বাসার সামনে আন্দোলনের সময় প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে, পুলিশের আঘাতে এক গর্ভবতী মহিলার নাকি গর্ভপাত হয়েছে। ওই নার্সের সাথে আমার কথা হয়েছে, সে নিজেই বলেছে আমিতো প্রেগনেন্টই হইনি বাচ্চা হবে কীভাবে। শুধু তাই নয়, এমনও বলা হয়েছে- ওইদিন নাকি ৪/৫টা নার্স মারা গেছে। পরে দেখা গেছে কেউ মারাও যায়নি। আপনারা জানেন, হেফাজতে ইসলামের সময়ের মতো তারা ওইদিন প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘তাদের এই প্ল্যান আমি সফল করতে দেইনি। এখন দেখি- এই নার্সরা আমার কাছে আসছে, বলছে আমরা তো পরীক্ষা দিতে পারি নাই, আমাদের পরীক্ষা নেন। বাস্তবে তাদের আমও গেছে ছালাও গেছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ড্যাবের একজন নেতা, এনজিও কর্মী ও বিদেশি একটি গবেষণা সংস্থার একজন কর্মকর্তা ধানমণ্ডির একটি বাসায় বৈঠক করেছিল। অর্থের বিনিময়ে আন্দোলন করানো হয়েছিল। সেখানে নার্স ছিল অল্প কয়জন। বাংলাদেশে একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। ১৯৭৪ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুর আলীর বাসায় যেমন জাসদ নামে একটি দল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল, তেমনি তারা সরকার উৎখাতের জন্য একটা পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি থাকতে এ কাজ হতে দিতে পারি না।’

প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদ চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন দলটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার, বেসিস সভাপতি শামীম আহসান প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত