সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ জুন, ২০১৬ ২৩:২৪

১৪ দলের সভায় পুলিশকে এখনই থামানোর আহ্বান

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের মতবিনিময় সভায় পুলিশি অভিযানে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

সভায় বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি অসীম রঞ্জন বড়ূয়া বলেছেন, 'প্রকৃত সত্য হলো আমরা ভীত। সম্প্রতি আমাদের নিরীহ দুই যুবককে সাঁড়াশি অভিযানের নামে ধরে নিয়েছে পুলিশ। সিআইডি অফিসে নিয়ে এক লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। পরে ২০ হাজার টাকায় ছাড়িয়ে আনতে হয়েছে।'

তিনি পুলিশকে এখনই থামানোর জন্য ১৪ দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।

বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় এমন অভিযোগ করা হয়। এ সময় পুলিশের অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি এবং স্থানীয় পর্যায়ে দুঃসময়ে এমপিদের জনগণের পাশে না থাকার বিষয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন বক্তারা। একই সঙ্গে তারা স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আমলে সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন।

১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মাহবুবউল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফরিদুনাহার লায়লী, ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মৃনাল কান্তি দাশ, আমিনুল ইসলাম আমিন, এসএম কামাল হোসেন, শরীফ নুরুল আম্বিয়া, দিলীপ বড়ূয়া, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ড. অসিত বরণ রায়, সহিদুল ইসলাম সিকদার, এসকে সিকদার, কামরুল হাসান, ইসমাইল হোসেন, অসীম রঞ্জন বড়ূয়া, প্রলয় সমাদ্দার বাপ্পি, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া প্রমুখ।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, 'খালেদা জিয়া তার ভুল রাজনীতির কারণে সংসদের প্রতিনিধিত্ব হারিয়েছেন। এরপর রাজপথে মানুষ পুড়িয়ে রাজপথও হারিয়েছেন। তাই এখন ক্ষমতার জন্য গুপ্তহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছেন।'

তিনি বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, 'এই দেশে আপনারা কেন ভয় পাবেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আপনারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশকে গড়ে তুলতে হবে।'

হয়রানির অভিযোগের জবাবে নাসিম বলেন, 'পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া বলেন, 'এখন দেশে যে গুপ্তহত্যা হচ্ছে তা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। খুনি চক্রের ধারণা, একজন খ্রিস্টানকে মারলে ইউরোপ ক্ষিপ্ত হবে, বৌদ্ধকে মারলে চীন ক্ষুব্ধ হবে আর হিন্দুকে মারলে ভারত সরকারের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করবে। কিন্তু এসবই খুনিদের ভুল ধারণা। প্রতিটি দূতাবাস সঠিক তথ্য জানে। এখন ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভালো আছে।'

তিনি বলেন, 'স্থানীয় পর্যায়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে।'

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি প্রলয় সমাদ্দার বাপ্পি বলেন, 'ধর্ম আমাদের বিশ্বাস, দেশ আমাদের মা। আমরা এই দেশের নাগরিক। তাই যতই ভয়ভীতি দেখানো হোক, আমরা এই দেশ ছেড়ে যেতে পারি না। এই সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভালো আছি। অন্য দেশে গিয়ে আমাদের উদ্বাস্তু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত