সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জুলাই, ২০১৬ ০২:২৪

‘ধর্মান্ধতা তরুণদের দানবে পরিণত করেছে’

গুলশানের রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় দেশি-বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। তারা বলেছেন, ‘ধর্মের নামে চরম অধার্মিকতার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে প্রমাণিত হয়, ধর্মান্ধতা তরুণ সমাজকে ত্রক্রমেই দানবে পরিণত করেছে।’

রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তারা এসব কথা বলেন।

‘আর নয় মৃত্যুর মিছিল, ধর্মের অপমান, হাতে হাতে কোটি মানুষ শপথে বলীয়ান’ স্লোগান ধারণ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে এসেছিলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক ও গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর। এসময় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ উপস্থিত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডে ‘স্তম্বিত ও মর্মাহত’ মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, ‘বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রেের নাগরিকদের জিম্মি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা সত্যিই জানা নেই। তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র ও মানবতার পক্ষে আমাদের লড়াই চলবেই। এ দেশকে আমরা কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক দেশ হতে দেব না।’ জঙ্গি আদর্শের প্রচার ও সংগঠনের কেন্দ্র, তাদের অর্থ ও জোগানোর নেটওয়ার্ক এবং দেশি-বিদেশি মদদদাতাদের দ্রুত খুঁজে বের করার অনুরোধ জানান মফিদুল হক। জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘এবার যারা জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন, তারা আমাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন, যারা আমাদের দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।’ হাসান আরিফ বলেন, ‘প্রিয় নগরী আজ বর্বর জঙ্গিবাদী হত্যাকাণ্ডে নিহতদের রক্তে নিমজ্জিত। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী দেশের প্রতিটি নাগরিক আজ  শোকাতুর।’

বক্তব্য শেষে সঙ্গীতশিল্পী বুলবুল ইসলামের ‘আগুনের পরশমণি’ গানটির সঙ্গে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন দেশের অগ্রজ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। এতে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত