অনলাইন প্রতিবেদক

০৪ জুলাই, ২০১৬ ২২:১৬

জঙ্গি মোবাশ্বেরের মধ্যে পরিবর্তনের লক্ষণ আগেই টের পেয়েছিলেন বাবা!

রাজধানী ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় যখন সারাবিশ্বের মানুষ হতবাক, তখন এক জঙ্গির পিতা সারাবিশ্বের মানুষের কাছে তার সন্তানের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্টিসানে হামলাকারী মীর সামি মুবাশ্বেরের বাবা মীর হায়াত কবীর বলেন, “আমি আমার ছেলের জন্য সারাবিশ্বের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি”।

তিনি বলেন, “এ পরিস্থিতিতে আমি কীভাবে আমার ছেলের শেষকৃত্য করবো? কে আসবে?”

নিউইয়র্ক টাইমসে তিনি জানান, নিজের ছেলের মৃতদেহ সনাক্তের জন্য কম্বাইন্ড মিলিটারি হসপিটাল-সিএমএইচে যেতে রবিবার পুলিশ থেকে তার কাছে ফোন আসে। কিন্তু তিনি যাননি।

তিনি জানান, মুবাশ্বের গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ। এ লেভেল পরীক্ষার কোচিং করতে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়। এর পর থেকেই পরিবার তার খোঁজ করতে থাকে।

সিএনএন এর প্রতিবেদন জানায়, মুবাশ্বেরের পরিবার ধারণা করেছিলো যে সে ইসলামি জঙ্গি কোন সংগঠনে যোগ দিয়েছে। রবিবার তাদের সে ধারণা প্রমাণিত হয়েছে।

হায়াত কবীরকে তার আত্মীয়রা আইএস এর পোস্টে তার ছেলে মুবাশ্বেরের ছবি দেখালে তিনি বলেন, “এ আমার ছেলে নয়, কোনভাবেই নয়। আমার ছেলের মধ্যে মানবতা ছিল”।
তিনি বলেন, “তার ১৮ বছর বয়সী ছেলেকে বোঝা কঠিন ছিল। এ বয়সী সব ছেলেকেই বোঝা কঠিন”।

তবে মোবাশ্বেরের মধ্যে পরিবর্তনের লক্ষণ তারা আগেই দেখেছিলেন বলে নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়। তাদের ছেলে এ লেভেল পরীক্ষার আগের ৬ মাস ধরে পড়াশোনাতে মনোযোগীই ছিল, তবে সে ছবি আঁকা বন্ধ করে দেয়। সে সবসময়ই বিশ্বাসী ছিল, এবং তার পরিবারও তার সে বিশ্বাসে কখনোই বাধা দেয়নি। এমনকি তাকে ধর্ম নিয়ে জানতে সরাসরি কোরআন পড়ারও পরামর্শ দিতেন তার বাবা।

নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুবাশ্বেরের স্বজনেরা জানান, সে হয়তো মসজিদে বা স্কুলে কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।

হায়াত কবীর বলেন, “কোন ইসলামিক গ্রুপ আমার ছেলেকে তাদের দলভুক্ত করেছে এবং তার ব্রেইন ওয়াশ করেছে। আমি বলছি তার মধ্যে মানবতা ছিল, যা কোনভাবেই এমন নির্মম হত্যাকা- ঘটাতে পারে না”।

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত