সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ জুলাই, ২০১৬ ০২:৫৩

অবশেষে গুলশানে হামলার ঘটনায় মামলা

গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় মোট ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করবে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

সোমবার (৪ জুলাই) রাতে গুলশান থানায় মামলাটি রেকর্ড হয় বলে জানান গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন মিয়া।

তিনি জানান, মামলায় আবু উমায়ের, আবু সালমা, আবু রাহিক, আবু মুসলিম ও আবু মুহারিব এবং অজ্ঞাত ১৫ জনসহ মোট ২০ জনকে আসমি করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার দুপুরে গুলশানে জিম্মি উদ্ধার অভিযানে নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত স্মরণসভায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে উল্লেখ করেছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক।

সেখানে এক বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘গুলশান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজই (সোমবার) মামলা হচ্ছে। এ ঘটনায় যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছে তাদের মরদেহ নিতে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি। যে দুজন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে তারা চিকিৎসাধীন। সুস্থ হয়ে উঠলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

অভিযান বিলম্বের প্রসঙ্গ টেনে আইজিপি বলেছিলেন, ‘অনেকেই দাবি করেছেন অভিযানে বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু আমি বলবো মোটেও বিলম্ব হয়নি। কারণ আমাদের টার্গেট ছিল জিম্মিদের মধ্যে যতজন সম্ভব জীবিত উদ্ধার করা। আমরা যতটুক জেনেছি, রেস্টুরেন্টের দখল নেয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই তারা বিদেশি জিম্মিদের হত্যা করে।’

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (০১ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিসান বেকারি রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী, জিম্মি করা হয় রাতের খাবার খেতে আসা দেশি-বিদেশি অতিথিদের। ৫ বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জিম্মিকে হত্যা করে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়।

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার (২ জুলাই) সকালে কমান্ডো অভিযানে ওই রেস্টুরেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জিম্মিদের ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায় ওই রেস্টুরেন্ট তল্লাশি করে। কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জিম্মি সঙ্কটের অবসানের পর দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, ৬ হামলাকারী নিহত হয়েছেন, একজন ধরা পড়েছেন। অবশ্য পরে পুলিশ পাঁচ হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করে।

নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানি ও ১ জন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

রেস্টুরেন্টে হামলার পরপরই সেখানে আটকে পড়াদের উদ্ধারে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বোমা-গুলিতে নিহত হন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত