সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জুলাই, ২০১৬ ১৩:৩৯

ফারাজ, তারিশি আর অবিন্তা ওয়াশরুমে ঢুকে বাঁচার চেষ্টা করে: সঞ্জীব জৈন

গুলশানের হোলি আর্টিসেন বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর নিজেদের প্রান বাঁচাতে রেস্তুরার টয়লেটে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিন বন্ধু ফারাজ হোসেন, তারিশি জৈন এবং অবিন্তা কবির। টয়লেট থেকেই বাবাকে হামলার বিস্তারিত জানিয়েছিলেন ভারতীয় নাগরিক তারিশি। ইন্ডিয়ান টাইমসকে এমনটাই জানিয়েছেন তারিশি জৈনের বাবা সঞ্জীব জৈন।

মেয়ের কাছ থেকে ফোনে ভয়াল দুঃস্বপ্নে ভরা রাতের কথার জেনে উদ্বিগ্ন  সঞ্জীব  হতবিহবল হয়ে পড়েছিলেন। সঞ্জীব জানান তাঁর মেয়ে তাকে ফোন বলেছিল, "আমি, ফারাজ আর অবিন্তা ওয়াশরুমে আশ্রয় নিয়েছি, বাইরে প্রচণ্ড গুলাগুলি। সন্তাসীরা সবাইকে একে একে খুন করছে। জানিনা এখান থেকে  জীবিত বের হতে পারব কিনা"

গুলশানের হামলায় নিহত হওয়া তারিশিই একমাত্র ভারতীয়। তারিশিসহ ২০ জনকে নির্মমভাবে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। হামলা ঠেকাতে আসা দুই পুলিশ কর্মকর্তাও জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হন।

নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষে, ফরেনসিক বিভাগের ডাক্তার বলছেন বিদেশীদের মতই বাংলাদেশি ফারাজ হোসেন ও অবন্তি কবিরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১ জুলাই) ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে শুক্রবার রাতে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনায়  ৯ জন ইতালিয়ান, ৭ জন জাপানি, ৩ জন বাংলাদেশি এবং ১ জন ভারতীয় নাগরিক নিহত হন।  এছাড়া ৬ হামলাকারীও নিহত হয় বলে জানায় পুলিশ।



আপনার মন্তব্য

আলোচিত