সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ জুলাই, ২০১৬ ১১:১৯

তিন মাস পর কর্মস্থলে ফিরলেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত তিন মাস পর নিজ কর্মস্থলে ফিরেছেন। রবিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় শহরের খানপুর মোকরবা রোডের বাসা থেকে স্কুলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি দল কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে স্কুলে পৌঁছে দেয়।

শ্যামল কান্তি বলেন, ‘দীর্ঘ দিন পর স্কুলে ফিরতে পারছি এজন্য আনন্দ লাগছে। তবে এখন স্কুলে গিয়ে বুঝতে পারবো সেখানকার পরিবেশ কেমন। এ আমি নিয়ে শঙ্কিত।’

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সরাফত বলেন, তিনি সারারাত পাহারা দেওয়ার পর সকালে এএসআই মাহবুবুরে নেতৃত্বে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বন্দর থানা পুলিশের কাছে শিক্ষকে তুলে দেওয়া হয়। পরে বন্দর থানা পুলিশ শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্কুলে পৌঁছে দেন।

বন্দর থানার ডিউটি অফিসার নাছির জানান,‘এসআই মনির আকন্দের কাছে সদর থানা পুলিশ শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে হস্তান্তর করে। পরে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম শিক্ষকে স্কুলে পৌঁছে দেয়। স্কুল ছুটি না হওয়ার পর্যন্ত তারা ওই স্কুলে শিক্ষকের নিরাপত্তার জন্য অবস্থান করবেন এবং তাকে বাসায় পৌঁছে দেবেন।’

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে স্কুলে পৌঁছে শিক্ষক শ্যামল কান্তি নিজ কক্ষে অবস্থান নেন।

১৩ মে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে স্কুল কমিটির লোকজন ও স্থানীয় জনগণ লাঞ্ছিত করেছিল। পরে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান কানধরে উঠবস করান। তবে এ বিষয়ে তিনি লজ্জিত ও দুঃখ প্রকাশ করে শিক্ষকের প্রাণ বাঁচাতে এ কাজ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন সেলিম ওসমান।

দেশজুড়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচার দাবির মধ্যেই ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার দুই দিনের মাথায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং প্রধান শিক্ষক তার পদে বহাল করেন। নিয়ম বহির্ভূত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ওই স্কুল কমিটিকেও মন্ত্রণালয় বাতিল করে।

সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত