সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ জুলাই, ২০১৬ ১১:২৬

জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত ৪ বাংলাদেশির সিঙ্গাপুরে সাজা

বাংলাদেশের জঙ্গিবাদে অর্থের যোগান দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় চার বাংলাদেশিকে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সিঙ্গাপুরের আদালত।

গত ৩১ মে সিঙ্গাপুরের আদালতে বাংলাদেশের জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য কয়েক হাজার মার্কিন ডলার সংগ্রহ ও তা সরবরাহের কথা স্বীকার করার পর আদালত এ রায় দিলেন। সাজাপ্রাপ্ত চার বাংলাদেশি হলেন- মিজানুর রহমান (৩১), রুবেল মিয়া (২৬), মো. জাবেদ কায়সার হাজি নুরুল ইসলাম সওদাগর (৩০) ও ইসমাইল হাওলাদার সোহেল (২৯)।

মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুই পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আদালত ওই চারজনের সাজা ঘোষণা করেন। খবর সূত্র স্ট্রেইটস টাইম ও চ্যানেল নিউজ এশিয়া।

পত্রিকা দুটি লিখেছে, ওই দলের নেতা মিজানুর রহমানকে আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এছাড়া সোহেলকে দুই বছর এবং বাকি দুজনকে ৩০ মাসের সাজা খাটতে হবে সিঙ্গাপুরে।   

কাজের জন্যে এই চার বাংলাদেশিদের সবাই সিঙ্গাপুরে গিয়ে জঙ্গিবাদে জড়ান, পুলিশের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে মিজানুর এস-পাসধারী মাঝারি পর্যায়ের দক্ষ কর্মী, বাকিরা সবাই ওয়ার্ক পারমিটধারী আধাদক্ষ শ্রমিক হিসেবে সিঙ্গাপুরে ছিলেন।

প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি দল আইএসের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটার পর গত মার্চে মিজানুর সিঙ্গাপুরে প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশিকে নিয়ে একটি দল গড়েন, যার নাম দেওয়া হয় ইসলামিক স্টেট ইন বাংলাদেশ।

গত এপ্রিলে মোট আট বাংলাদেশিকে সিঙ্গাপুরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইনে আটক করার পর ছয়জনকে জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করে দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে ওই চারজন হলেন প্রথম, যাদের সিঙ্গাপুরের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাজা দেওয়া হল। অভিযুক্ত বাকি দুই বাংলাদেশি দৌলতুজ্জামান (৩৪) ও লিয়াকত আলী মামুন (২৯) আদালতে জঙ্গি অর্থায়নে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের বিচারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

চ্যানেল নিউজ এশিয়া প্রসিকিউটরকে উদ্ধৃত করে জানায়, সস্তা সামগ্রী দিয়েও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে ফেলা সম্ভব। সেজন্য যে খরচ সন্ত্রাসীদের হবে, তা হয়তো নগণ্য। কিন্তু সমাজের যে ক্ষতি তাতে হবে, তার দাম অনেক। সিঙ্গাপুরকে অবশ্যই জঙ্গিবাদ ও তাতে অর্থায়নের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।”
 
সিঙ্গাপুর পুলিশের বরাত দিয়ে চ্যানেল নিউজ এশিয়ার খবরে বলা হয়, মিজানুর আইএসে যোগ দিয়ে একজন মুজাহিদ হওয়ার এবং সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ‘অবিশ্বাসীদের’ ধ্বংস করার ‘স্বপ্ন দেখছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত