সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ জুলাই, ২০১৬ ১৬:৩৪

‘নির্যাতিত মানুষের প্রতিবাদের ভাষাই সন্ত্রাসবাদে রূপ নিচ্ছে’

বিচারবহির্ভূত হত্যার ‘প্রতিশোধস্পৃহা’ থেকেই মানুষ জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে বলে মত দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

দলটির অন্যতম শীর্ষ এ নেতা মনে করেন, ‘নির্যাতিত মানুষের প্রতিবাদের ভাষাই সন্ত্রাসবাদে রূপ নিচ্ছে।’ আর এর জন্য তিনি দায়ী করছেন দেশে ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা না থাকাকে’।

বুধবার (১৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে পুলিশের নির্যাতনে জামালপুরের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারীকে হ্ত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ সব কথা বলে। সভার আয়োজক জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযানের নামে ১৩ হাজার নিরপরাধ মানুষকে নির্যাতন করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের জন্য যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিছু দিন পরে তাদেরই খুন অথবা ক্রসফায়ারে মারা হচ্ছে। আর এ কারণেই সন্ত্রাসবাদের উত্থান হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে এই সরকার। জঙ্গিবাদকে উসকেও দিচ্ছে তারা। সরকার নির্দোষ মানুষকে ক্রসফায়ারে দেয়ার কারণেই প্রতিশোধের স্পৃহা থেকে এক শ্রেণির মানুষ জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।’

গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘যে গুলশানে এত নিরাপত্তা, সেখানে কিভাবে এত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জঙ্গিরা নির্বিঘ্নে প্রবেশ করল? এ ছাড়া হামলা করার পর যৌথবাহিনী সরাসরি অভিযান না চালিয়ে সারা রাত অপেক্ষা করল কেন?’

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের আগেও দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করা হয়েছিল। আজ সাংবিধানিকভাবে বাকশাল না থাকলেও অলিখিতভাবে বাকশালি শাসন চলছে।’

রক্ষীবাহিনীর প্রসঙ্গ টেনে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘মাহমুদুর রহমান সত্য বলার কারণে তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। আজ রক্ষীবাহিনীর হাতে মানুষ মরছে না, তবে একই কায়দায় র‌্যাব-পুলিশের হাতে মানুষ মরছে।’

বাংলাদেশের নাগরিক এমনকি বিদেশি নাগরিকরাও এই সরকারের অধীনে নিরাপদে নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

ক্ষোভ জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সাধারণ মানুষ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাহিত্যিক কিংবা পুলিশ সুপারের স্ত্রীসহ কোনো পোশার মানুষই নিরাপদে নেই। রাস্তা-ঘাট, কর্মক্ষেত্র এমনকি বেডরুমেও মানুষ নিরাপদ নয়। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে দেশে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি।’

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উল্ফাতের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত