সিলেটটুডে ডেস্ক

১৩ জুলাই, ২০১৬ ২০:১০

জঙ্গিরা নেশায় আসক্ত ছিল কি না জানতে ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ

রাজধানীর গুলশান হামলায় জড়িত জঙ্গিরা মাদক জাতিয় বিশেষ কিছু খেয়েছিল কি না জানতে পরীক্ষার জন্য ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আদালতের অনুমতির মাধ্যমে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট এ নমুনা সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।

তিনি জানান, ‘নিহত জিম্মিদের মৃতদেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধারণা করা হচ্ছে রাত ১২টার মধ্যেই তাদের হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর জঙ্গিরা একাধিক মৃতদেহকে বিকৃত করেছে। কিন্তু মাত্র পাঁচজন জঙ্গির পক্ষে ২০ জন মানুষকে এভাবে খুন করা অস্বাভাবিক। তাই তারা বিশেষ ধরনের কোনো নেশায় আসক্ত ছিল কি না (স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী ওষুধ), বা শক্তিবর্ধক কিছু খেয়েছিল কি না তা জানার জন্য জঙ্গিদের ভিসেরা ঢাকার রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

চিকিৎসক জানিয়েছেন, ভিসেরা নমুনা হচ্ছে নিহত ব্যক্তির যকৃত, কিডনি, পাকস্থলী ও পাকস্থলীতে থাকা খাবারের নমুনা।

একটি সূত্রে জানা গেছে, আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গিদের ভিসেরার নমুনা চেয়ে অনুরোধ করেছে।

এ দুটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে ভিসেরা নমুনা চেয়ে অনুরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের মুখপাত্র উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান।

ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের ধারণা, নিহত ৬ জঙ্গির (একজন হলি আর্টিসানের বাবুর্চি সাইফুল চকিদার, জিম্মি উদ্ধার অভিযানে ওই রেস্তোরাঁর বাবুর্চি সাইফুল চকিদার এবং ৫ জন জঙ্গি নিহত হয়) মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বোমার আঘাতে এবং বাকি তিনজনের দেহে গুলি পাওয়া গেছে।

১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় জঙ্গিরা। ১২ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর জিম্মি সংকটের সময় ২০ জন দেশি বিদেশি নাগরিক নিহত হন। জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন ২ জন পুলিশ কর্মকর্তাও।

নিহত জিম্মিদের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ৪ জন চিকিৎসক। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ৩ জুলাই এ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এখনো ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত