সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ জুলাই, ২০১৬ ১৮:১৩

‘জঙ্গিদের লাশ নিতে চাইলে লাগবে ডিএনএ পরীক্ষা’

গুলশানের  হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে নিহত জঙ্গিদের লাশ বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) মর্গে রাখা থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের পরিবারের কেউ লাশ নিতে যোগাযোগ করেনি। কেউ যদি নিজেদের সন্তানের দাবি করে লাশ নিতে চান সে ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদেরও ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই লাশ হস্তান্তর করতে চায় পুলিশ।

বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই জঙ্গিদের লাশ পরিবারের কেউ নিতে চাইলে হস্তান্তর করা হবে। এসময় তিনি বলেন, যদি কোনো পরিবার তাদের সন্তানদের নিতে যোগাযোগ না করে, সে ক্ষেত্রে ডেডবডিগুলো আরো কিছুদিন সিএমএইচে রাখা হবে। তবে কতদির রাখা হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়নি।  
 
এদিকে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলাকারীরা নেশা জাতীয় কোনো ওষুধ সেবন করেছিলেন কি না তা নিশ্চিত হতে নিহতদের রক্ত ও চুলের নমুনা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল সিএমএইচে যায়। নমুনা সংগ্রহে যাওয়া প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুলশানে নিহত ৬ জঙ্গির রক্ত ও চুলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রক্ত ও চুলের নমুনা সংগ্রহের জন্য বেশকিছু শর্তও দেয়া হয়েছে। শর্তের মধ্যে রয়েছে- নিহত প্রত্যেকের হার্টের কাছাকাছি থেকে ১০ মিলিলিটার, হাত-পা থেকে ১০ মিলিলিটার রক্ত নিতে হবে। এছাড়া মাথার সামনে থেকে ১০টি, পেছনে থেকে ১০টি, মাথার ডান ও বাম পাশ থেকে ১০টি করে চুল সংগ্রহ করতে হবে।’

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিসি মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা নিহতদের বিভিন্ন রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত রাসায়নিক পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। যে পরীক্ষাগুলো দেশে করানো সম্ভব, সেগুলো আমরা দেশেই করবো। আর যেগুলো দেশে করার ব্যবস্থা নেই সেগুলোর জন্য এফবিআই’র ল্যাবে আলামত পাঠানো হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে অভিযানের সময় যৌথবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায় পাঁচ জঙ্গি। তারা হলো- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, স্কলাসটিকার সাবেক ছাত্র মীর সামিহ মোবাশ্বের, মালয়েশিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিবরাস ইসলাম, বগুড়ার বিগিগ্রাম ডিইউ সেন্ট্রাল ফাজিল মাদরাসার সাবেক ছাত্র খায়রুল ইসলাম পায়েল, বগুড়ার সরকারি আযিযুল হক কলেজের ছাত্র শফিকুল ইসলাম উজ্জল। এছাড়া হলি আর্টিসানের কর্মচারি বলে পরিচিত সাইফুল ইসলাম চৌকিদারের লাশও সিএমএইচে রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত