সিলেট টুডে ডেস্ক

২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪ ১৬:২৭

বিএনপির আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত: সাক্ষ্য গ্রহণ ৭ জানুয়ারি

খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা

জেলহাজতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েই আদালতে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আশঙ্কায় ছিলেন তিনি নিজে আশঙ্কায় ছিল বিএনপির নেতাকর্মিরা। তাই আদালতে যাওয়ার সময়ে বিএনপি-আওয়ামীলীগ জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে। আহত হন অনেকেই, আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন ভর্তি হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ আগামী ৭ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। পুরান ঢাকার বকশীবাজার এলাকার আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিচারক প্রথম এজলাসে ওঠেন। এ সময় খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া মামলার কার্যক্রম পরে শুরু করার আবেদন করেন। আদালত সাময়িকভাবে মুলতবি ঘোষণা করে বিচারক এজলাস ছাড়েন। বেলা পৌনে একটার দিকে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়।

 

১৯ মার্চ ২০১৪, খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী বিচারক নিয়োগ ও মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন। উচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেন। গত সপ্তাহে বিচারক বাসুদেব রায়কে বদলি করে তাঁর স্থলে আবু আহমেদ জমাদ্দারকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতে রিট খারিজ হয়ে যাওয়ার পর বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করতে সরকারের নীল নকশা অনুযায়ি কাজ করা হচ্ছে।

 

খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়াকে কেন্দ্র করে ফজলে রাব্বী হলের মোড়ে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অবস্থান নেন। সেখানে পুলিশও অবস্থান নেয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, একপর্যায়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এলাকা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেন। এ সময় পুলিশ নীরব ছিল। দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় একজনের মাথা জখম হতে দেখা যায়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের বেশ কয়েকটি শেল ছোড়ে। এদিকে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে বলে বিনা উস্কানিতে বিএনপির নেতাকর্মিরা ছাত্রলীগ ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে।

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুদক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত