সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ জানুয়ারি, ২০১৭ ২২:৪৩

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক ১০ হাজারের বেশি উত্তোলন নয়

এখন থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দিনে ১০ হাজার টাকার বেশি পরিমাণ অর্থ ক্যাশ আউট বা উত্তোলন করা যাবে না, এবং কোন মোবাইল ফাইন্যান্সসিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) সেবাদাতার সঙ্গে একজন গ্রাহক একাধিক হিসাব রাখতে পারবেন না।

বুধবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি এমএফএস সেবাদানকারী ব্যাংক ও তার সাবসিডিয়ারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ স্বাক্ষরিত সার্কুলারে বলা হয়েছে, 'কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এ সেবাটির অপব্যবহার করছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে যা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর। এ প্রেক্ষিতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস এর অপব্যবহার রোধকল্পে এবং এর সুশৃঙ্খল ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে নির্দেশনাসমূহ প্রস্তুত করা হয়েছে, যা যথার্থভাবে পরিপালনের জন্য আপনাদেরকে পরামর্শ দেয়া হলো।'

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী,মোবাইল ফাইন্যান্সসিয়াল সেবাদানকারী (এমএফএস) কোনও প্রতিষ্ঠানে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকার বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনও গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে দিনে অনধিক দু’বারে ১৫ হাজার টাকার বেশি ক্যাশ ইন বা জমা করতে পারবেন না। একইভাবে গ্রাহক মাসে ২০ বারে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার বেশি ক্যাশ ইন করতে পারবেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, একজন গ্রাহক দিনে দু’বারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা তুলতে বা ক্যাশ আউট করতে পারবেন। মাসে অনধিক ১০ বারে ৫০ হাজার টাকার বেশি উত্তোলন করা যাবে না।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, একটি মোবাইল হিসাবে ক্যাশ-ইন হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকার বেশি ক্যাশ-আউট করা যাবে না।
কোন এমএফএসে গ্রাহকের একাধিক অ্যাকাউন্ট নয়
একজন গ্রাহক তার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাব থেকে টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আগের মতোই প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এবং মাসে ২৫ হাজার টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

এতে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি কোন এমএফএস প্রোভাইডারের সঙ্গে একাধিক মোবাইল হিসাব চলমান রাখতে পারবেন না। কোন গ্রাহকের একই জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড বা অন্য কোন পরিচয়পত্রের বিপরীতে কোন এমএফএসে একাধিক হিসাব থাকলে আলোচনার মাধ্যমে তার বেছে নেয়া যেকোন একটি মোবাইল হিসাব চালু রেখে অন্য হিসাবগুলো বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কোন ক্ষেত্রে গ্রাহকের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ দুরূহ হলে যে হিসাবটিতে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে তা চালু রেখে অন্য হিসাবগুলো বন্ধ করতে হবে। এ পদক্ষেপ গ্রহণকালে যে সকল মোবাইল হিসাব বন্ধ করা হবে তার সমুদয় স্থিতি সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে পরিশোধ/প্রদান বা হস্তান্তরের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, এতদিন একজন গ্রাহক দিনে ৫ বার এবং মাসে ২০ বার নগদ অর্থ জমা করতে পারতেন। আর দৈনিক ৩ বার ও মাসে ১০ বার টাকা উত্তোলন করতে পারতেন। প্রতিবারে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জমা ও উত্তোলনের সীমা নির্ধারিত ছিল। মাসে জমা ও উত্তোলনের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল এক লাখ ৫০ হাজার টাকা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত