সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ অক্টোবর, ২০১৭ ১৮:৫৪

২৩ অক্টোবর মিয়ানমার যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা এগিয়ে নিতে ২৩ অক্টোবর মিয়ানমারে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তবে তিনি রাখাইনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের মূল এজেন্ডা হবে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে- সে বিষয়ে আলোচনা করা।”

রোহিঙ্গা সঙ্কট ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় চারটি পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে মিয়ানামার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানান কামাল। তিনি বলেন, ২৩ তারিখ তার যাত্রার সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে; সফর শেষে ২৫ অক্টোবর তিনি ফিরবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধান, কোস্টগার্ড প্রধান, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) এই সফরে মন্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন।

সু চির দপ্তরের মন্ত্রী কিয়া তিন্ত সোয়ে ঢাকায় এসে গত ২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয় সেখানে। এ বিষয়ে আরও আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিগগিরই মিয়ানমার সফরে যাবেন বলে সেদিনই জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

মিয়ানমারের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার জন্য একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রস্তাব করে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলকে ওই চুক্তির খসড়াও হস্তান্তর করা হয়। তবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে ওই খসড়ার বিষয়ে এখনও কোনো জবাব মেলেনি বলে গত ৯ অক্টোবর বিভিন্ন দেশের দূতদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  

যেসব এলাকায় রোহিঙ্গারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, মিয়ানমার সফরে সেসব এলাকায় যাবেন কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, “যদি তারা আমাদের অনুমতি দেয়, তাহলে আমরা সেখানে যাব।”

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, “উখিয়া টেকনাফ এলাকায় এখন রোহিঙ্গাদের সংখ্যা স্থানীয় বাসিন্দাদের চারগুণ। যদি তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আলোচনা দীর্ঘ হয়, তাহলে ভাসানচরে তাদের নেওয়ার কথা ভাবা হবে।

“এখন যারা আসছে তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথাবার্তা আমরা বলছি। কিন্তু এর আগে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে তো কোনো আলোচনাই হচ্ছে না।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত