সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ অক্টোবর, ২০১৭ ১৫:৫২

বৈষম্য নয়, শিক্ষা ব্যবস্থায় একই নীতি থাকতে হবে: ইকবাল সোবহান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন ধরনের বৈষম্য থাকতে পারে না, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চতর শিক্ষাব্যবস্থায় একই নীতি থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম আয়োজিত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের একদফা দাবি মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে শুধু জাতীয়করণ নয় আগামী প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বেসরকারি শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষায় বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী কাজ করেছেন। শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষাব্যবস্থায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। আপনারা (শিক্ষকরা) যে কোন আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আপনাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা আছে। তাই আপনাদের এই দাবি বাস্তবায়ন হবেই। আপনাদের নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করবেন।

সমাবেশে সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার সকল শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেলেও মুক্তির স্বাধীনতা পায়নি। শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য রাখলে এই দেশের জনগণ কখনও মুক্তি পাবে না ।আমাদের শিক্ষকদের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে তাদেরকে পরিপূরক মর্যাদা দিতে হবে।জাতির পিতার সুজলা সুফলা সোনার বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের কোন বিকল্প নেই।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিবৃন্দ আজো স্বাধীনতার সুখ থেকে বঞ্চিত। দুঃখ- দুর্দশা, সীমাহীন বৈষম্য প্রতিনিয়ত আমাদেরকে ক্ষত-বিক্ষত করে তুলছে। অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা ও বাসস্থানের মত শিক্ষাও একটি মৌলিক অধিকার।  কিন্তু শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের মূল কারিগর শিক্ষক- কর্মচারিদের সুবিধা বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।

তারা বলেন, একই সিলেবাসে একই শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন হয়েও সরকারি শিক্ষকদের তুলনায় বেসরকারি শিক্ষকদের প্রাপ্তি অতি নগণ্য। অথচ বেসরকারি শিক্ষকরাই ৯৭.৫৪ ভাগ শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে থাকেন। আমরা আর কতকাল এই বৈষম্যের যাঁতাকলে পৃষ্ট হবো? সাড়ে ৫ লক্ষ শিক্ষক আমার পরিবার পরিজন নেয়ে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছি। এখন আমাদের একটাই দাবি শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ চাই।

বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন মিঞার সভাপতিত্বে সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আব্দুল খালেক, অতিরিক্ত মহাসচিব মো. হারুনুর রশিদ হাওলাদার, সংগঠনের যুগ্ম- মহাসচিব অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল ইসলাম মাসুদ, সহ-সভাপতি সাইদুল হাসান, রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেলি পারভীন ছবি, মো. আতিকুল ইসলাম খান।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোলাম সরোয়ার কবির, শাহীন রেজা, আমিনুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, সিজিএম আনিসুজ্জামান, মতিউর রহমান দুলাল, আতিকুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুগ্ম মহাসচিব জিএম শাওন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত