২৭ ডিসেম্বর, ২০১৪ ১৭:০২
ফায়ার সার্ভিস বিভাগ যখন উদ্ধার অভিযান বন্ধের ঘোষণা দেয়
তখন জিহাদের পরিবারের মাঝে নেমে আসে রাজ্যের অশান্তি। জীবিত না হলেও মৃতদেহ উদ্ধার
হবে কিনা এ নিয়ে সন্দিহান ছিল তারা। উপরন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছিল জিহাদকে
লুকিয়ে রেখে ফায়দা হাসিলের চিন্তা করা হচ্ছে এই অভিযোগ। জিহাদের বাবা নাসিরউদ্দিনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে
জিজ্ঞাসাবাদ করছিল ফলে সব দিক থেকে চরম দুঃসময়ে ছিল জিহাদের পরিবার।
জিহাদকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়নি কিন্তু তার মৃতদেহ
উদ্ধারের মাধ্যমে এক দিক থেকে পুলিশী হয়রানি থেকে মুক্ত হতে পেরেছে তার পরিবার।
ফায়ার সার্ভিস বিভাগ যখন উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে সংবাদ
সম্মেলন করছিল ঠিক সে সময়েই উদ্ধার হয় শিশু জিহাদের মৃতদেহ।
২৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর অবশেষে তিন যুবকের
প্রচেষ্টায় উদ্ধার হলো শিশু জিহাদ। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করেন মজিদ, লিটু ও আনোয়ার। তাদের
তৈরিকৃত একটি ক্যাচারের মাধ্যমে জিহাদকে টেনে তোলা হয়। তাকে প্রায় ২৩৫ ফুট নিচ
থেকে ওই যন্ত্রটি দিয়ে টেনে তোলা হয়েছে। ক্যাচারটি লোহার রড এবং জাল দিয়ে তৈরি। এ
ক্যাচারে কেউ ডুকে পড়লে আর বের হতে পারবে না।
জিহাদ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া যুবক
লিটু সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি গতকাল রাতে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে এসেছি। এখানে এসে
আরো কয়েকজন মেকানিকের সঙ্গে কথা বলে ক্যাচার তৈরি করি। রাত ৩টার দিকে আমরা
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করি। আজ দুপুরে ক্যাচারের মাধ্যমে শিশুটিকে টেনে তুলতে সক্ষম
হই।'
শনিবার দুপুর পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা
অব্যাহত থাকে। দফায় দফায় চলা অভিযানেও শিশুটির খোঁজ না পাওয়া উদ্ধার কাজ বন্ধ
ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস। এর ঠিক কয়েক মিনিটের মাথায় স্থানিয়দের উদ্যোগে উদ্ধার হয়
শিশু জিহাদের মৃতদেহ।
আপনার মন্তব্য