সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ০১:৩২

অস্ত্রধারী নিয়াজুল শামীম ওসমানের ক্যাডার!

নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার সমর্থকদের জমায়েতে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করে আলোচনায় এসেছেন নিয়াজুল ইসলাম খান। তিনি নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে থাকেন। উত্থান হয় তার এরশাদ সরকারের আমলে শামীম ওসমানের ভাই নাসিম ওসমানের এমপি হওয়ার পর। আর শামীম ওসমানের উত্থানের সময়ে ছিলেন তার চার প্রধান ক্যাডারের অন্যতম।
 
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ‘হকার মুক্ত ফুটপাথ চাই’ স্লোগান ধরে লোকজন নিয়ে চাষাড়ার দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ সময় শামীম প্লাজা থেকে আইভীর লোকজনের ওপর বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পিস্তল উচিয়ে ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে সড়কে পড়ে যান সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার পায়ে ইটের আঘাত লাগে। সেখান থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে।

মেয়র আইভীর জমায়েতে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা নিয়াজুল ইসলাম খান নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদমারী এলাকার বাসিন্দা। যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি এলজিইডির ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন।

জানা যায়, ১৯৮৬ সালে এরশাদের সময় নাসিম ওসমান সাংসদ হলে নিয়াজুলের উত্থান হয়। ১৯৮৮ সালে সংঘটিত জোড়া খুনের (কামাল ও কালাম) মামলার আসামি ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে শামীম ওসমান সাংসদ নির্বাচিত হলে নিয়াজুল অস্ত্রের লাইসেন্স পান। নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে চলতেন।

নগরের চাঁদমারীতে সেনাবাহিনীর জায়গার বস্তি নিয়ন্ত্রণ করতেন নিয়াজুল ইসলাম। এক-এগারোর সময় সেনাবাহিনী ওই বস্তি উচ্ছেদ করে। এ ছাড়া পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা, ভূমিদস্যুতাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আছে নিয়াজুলের নাম।

নিয়াজুল ইসলামের ভাই যুবলীগের ক্যাডার নজরুল ইসলাম ওরফে সুইট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন। ওই সরকারের আমলে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত যুবদলের নেতা মমিন উল্লা ওরফে ডেভিড নিয়াজুল ইসলামের আত্মীয়।

শামীম ওসমানের উত্থানের সময়কার চার প্রধান ক্যাডার ছিলেন লাল, সারোয়ার, মাকসুদ ও নিয়াজুল। এর মধ্য প্রথম দুজন অসুস্থ হয় মারা গেছেন। মাকসুদের লাশ পাওয়া গেছে ঢাকায়। জীবিত আছেন কেবল এই অস্ত্রধারী নিয়াজুল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত