সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ জুন, ২০১৫ ১৭:২৯

জামায়াত বর্জনের বার্তা দিয়ে গেলেন মোদি!

ঢাকার মাটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সন্ত্রাস ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করে গেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে নিজের সব কর্মসূচি থেকে দূরে রেখে তিনি জামায়াত বর্জনের বার্তাও দিয়ে গেছেন বলে মূল্যায়ন রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। কারণ এ দেশে জঙ্গিবাদ ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসের সঙ্গে দলটির সংযোগ আছে বলেই বিশ্বাস করা হয়।

গত শনি ও রবিবার বাংলাদেশ সফরের সময় নরেন্দ্র মোদি একদিকে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'জিরো টলারেন্স' (ছাড় না দেওয়া) নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন, বক্তৃতা দিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বলেছেন, ভারত গণতন্ত্রের সমর্থক এবং মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের বিরোধী। খালেদা জিয়াও মোদিকে জানিয়েছেন, তিনিও সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন কি পাবেন না সে বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে ছিল নানা জল্পনা। ভারত বা সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা কখনোই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বাম দলগুলোর নেতা এবং খালেদা জিয়ার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবার কাছে পৌঁছার অংশ হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে এখানে বিশেষভাবে নজর কেড়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম বড় শরিক জামায়াতের প্রতিনিধিদের মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ না হওয়াটা।

সফরের দ্বিতীয় ও শেষ দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সুধী সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনতে বাংলাদেশের সমাজের প্রায় সব শ্রেণির প্রতিনিধিরা নিমন্ত্রণ পেলেও সেখানে জামায়াতের কাউকে দেখা যায়নি।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, 'জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের সঙ্গে ভারত নেই, নরেন্দ্র মোদির এ বক্তব্য আসলে জামায়াতকে ইঙ্গিত করেই করা কি না, তা স্পষ্ট বলা যাবে না। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, দেশে গত দেড় বছরে পাঁচজন ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে অত্যন্ত নৃশংসভাবে এবং হরতাল অবরোধের সময় গাড়িতে পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা, বৌদ্ধ মন্দিরে আগুন দেওয়াসহ নাশকতার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকেই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন।'

মোদি জামায়াতের কোনো নেতাকে সাক্ষাৎ দেননি। কাউকে তিনি তাঁর হোটেলে আমন্ত্রণও জানাননি। এ ঘটনায় দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ এক বিবৃতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংগত কারণেই জনগণ আশা করেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে তিস্তা ও ফেনীর মুহুরী নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু তা না হওয়ায় সবাই হতাশ। সার্বিকভাবে নরেন্দ্র মোদির সফর থেকে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় জনগণ আশাহত হয়েছে।

নরেন্দ্র মোদির সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত যেভাবে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছে, তা অতীতে ভারতীয় কোনো প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, মোদিকে নিয়ে এ দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক মহলে বিশেষ আগ্রহ ছিল। বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে ৪১ বছরের পুরনো সীমান্ত সমস্যার সমাধান করে তিনি রীতিমতো বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন। এটি ভারত সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের ধারণাই বদলে দিয়েছে। দেশটির অতীত সরকারগুলো যা পারেনি, মোদি তা করে দেখিয়েছেন।

অতীতে ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সফরের সময় সম্ভাব্য চুক্তিগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা, পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের প্রচুর নজির আছে। এবার বিএনপিও বলেছে, তারা অতীতে কোনো দিন ভারতের বিরোধিতা করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। তবে নরেন্দ্র মোদির সফরে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো কার্যত ভারতের প্রয়োজনেই হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে জামায়াত।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, জঙ্গিবাদ, দশ ট্রাক অস্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকদের মতে, তখন ক্ষমতার কেন্দ্রে বিএনপি থাকলেও চালকের আসনে ছিল জামায়াত। সরকারি নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা ছিল দলটির। বাংলা ভাইয়ের মতো জঙ্গিদের প্রকাশ্য মহড়া ও কর্মকাণ্ডের খবরকে তৎকালীন জামায়াতদলীয় মন্ত্রীরা কল্পকাহিনী আখ্যা দিয়ে যেভাবে উড়িয়ে দিয়েছিলেন, তা ভারতের দৃষ্টি এড়ায়নি।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা জঙ্গিবাদবিরোধী জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো দূর করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা শুরু করলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন মাত্রা পায়।

২০১২ সালের অক্টোবর মাসে খালেদা জিয়া সরকারি আমন্ত্রণে ভারত সফর করেন। এর মধ্য দিয়ে বিএনপির সঙ্গে ভারতের দূরত্ব কমার লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বিভিন্ন ইস্যুতে আবার বিরোধ ফিরে আসে, যার বড় ধরনের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২০১৩ সালের মার্চে সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎ বাতিলের মধ্য দিয়ে।

এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বিএনপির বর্জন সত্ত্বেও সেই নির্বাচনকে ভারত সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হিসেবে অভিহিত করে। গত বছরের মে মাসে ভারতে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পালা বদলের পর দিল্লির সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা শুরু করে বিএনপি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গত জুনে ঢাকা সফরের সময় তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিজে হোটেলে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। এর এক বছর পর গত রবিবার বিকেলে খালেদা জিয়া নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে 'গণতন্ত্রহীনতা'র কথা তুলে ধরেন। সাক্ষাতের পর বিএনপির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানানো হয়।

ওই সাক্ষাতের কিছু সময় পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ড. এস জয়শঙ্করের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন সাংবাদিক জানতে চান, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন কী বলেছেন, তা আমরা শুনেছি। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ঘাটতিবিষয়ক ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদি কী আশ্বাস দিয়েছেন?'

জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, 'আমার চেয়ে আপনাদের (সাংবাদিকদের) কিছু বেশি সুবিধা আছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি কী বলেছে, তা আমি শুনিনি। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি, বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং বিএনপি নেত্রী আসলে স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুস্বাক্ষরে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। এ অঞ্চল ও এর বাইরে পণ্যের অবাধ চলাচলের প্রতিও তিনি সমর্থন জানান। তিনি সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন।'

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আরো বলেন, 'আমি এখন আপনার প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিচ্ছি। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। আর তা হলো, আমরা গণতন্ত্রের সমর্থক এবং আমরা মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদেরও বিরোধী।'

সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে নরেন্দ্র মোদির ওই অবস্থান, বিশেষ করে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী বক্তব্যের গুরুত্ব অনেক। এর অন্তর্নিহিত বার্তা বিএনপির বোঝা উচিত।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ (ইন্টারভেনশন) চেয়েছেন। হিন্দুস্তান টাইমস নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎকে বিএনপির 'ভারতবিরোধী' অবস্থানের নাটকীয় পরিবর্তন বলে অভিহিত করেছে। ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, কট্টর ভারতবিরোধী হিসেবে পরিচিত খালেদা জিয়া নরেন্দ্র মোদির সফরকে শুধু স্বাগতই জানাননি, স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

হিন্দুস্তান টাইমসের মতে, এটি বিএনপি চেয়ারপারসনের ২০১০ সালের অবস্থানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। ওই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ভারতের কাছে দেশ বেচে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। এমনকি নব্বইয়ের দশকে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তিতেও তাঁর ঘোর আপত্তি ছিল।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ভারতকে তেমন কোনো সহযোগিতাই করেননি। বরং অভিযোগ আছে, তাঁর সরকারের সময় বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি হয়ে উঠেছিল।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ড. জয়শঙ্কর সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর দেশের উদ্বেগগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে দূর করেছেন। এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে সহায়ক হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ভারত এ দেশের সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায়; কিন্তু মৌলবাদ, উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে নয়। তাই বন্ধুত্ব চাইলে এসব পন্থা আগে ছাড়তে হবে। দুই দিনের সফরে নরেন্দ্র মোদি যেভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর নীতি ও সাফল্যের প্রশংসা করেছেন, তাতে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। এত উচ্ছ্বাস, এত আবেগ মোদি তাঁর অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোতে গিয়ে দেখাননি। মোদির বাংলাদেশ সফরে ঐতিহাসিক সব চুক্তি ও সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

মোদি গত রবিবার ঢাকায় তাঁর বক্তৃতায় অন্তত চারবার পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনেছেন। তিনি বলেন, 'পাকিস্তান অব্যাহতভাবে আমাদের বিরক্ত এবং আপদ সৃষ্টি করছে। এটি সন্ত্রাস উৎসাহিত করে এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায়।'

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তাঁর দেশের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়ার দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে দিল্লিকে সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের দাবিতে আরো সরব হওয়ার এবং বৈশ্বিক ফোরামগুলোতে একসঙ্গে কাজ করারও ঘোষণা দিয়েছে।

নরেন্দ্র মোদির পররাষ্ট্রনীতির বিশেষ দিক হলো 'প্রতিবেশীরাই প্রথম'। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমস্যার সমাধান করে দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চায় ভারত। ঢাকা ছাড়ার আগে বক্তৃতায় নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত শুধু কাছাকাছি নয়, বাংলাদেশের পাশাপাশি আছে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আছে এবং সঙ্গে থাকবে। দুই দেশের সম্পর্কের গতিকে যদি এখন হাঁটা বলে বিবেচনা করা হয়, তাহলে আগামী দিনে তা এত গতি পাবে যে তাকে দৌড় বলতে হবে।


সূত্র : কালের কণ্ঠ

আপনার মন্তব্য

আলোচিত