নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ জুন, ২০১৫ ০০:৩০

টিএসসিতে সহস্রাধিক কণ্ঠে অভিন্ন দাবি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিরোধে আইন চাই

“ওরা বলে ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয় নি। আমি যদি বলি ৩০ লক্ষ শহীদ হয়নি, যদি তিন লক্ষ হয়, যদি তিন হাজার হয়, যদি এক জন হয়, যদি শুধু আমার বাবাও হয় তবে সে-ই আমার কাছে ৩০ লক্ষের সমান”।

এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিরোধে আইনের দাবিতে মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসিতে উপস্থিত হয়ে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন শহীদ বুদ্ধিজীবি আব্দুল আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিরোধে Genocide Denial আইন প্রণয়নের দাবিতে হাজারো লোক সমবেত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সহস্রাধিক লোক অথচ দাবি একটাই- ইতিহাস বিকৃতিকে আইনের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা। উপস্থিত সবাই অনতিবিলম্বে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিরোধে রাষ্ট্রীয় কর্তব্য পালনের জন্যে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।

মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের সাথে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধকালীন চার নম্বর সাব-সেক্টর কম্যান্ডার রুহেল আহমেদ বাবু, মুক্তিযোদ্ধা সাইফ রাজু, সাংবাদিক অঞ্জন রায়, শহীদ আলতাফ মাহমুদ কন্যা শাওন মাহমুদ, শহীদ আব্দুল আলীম চৌধুরী কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী, গণজাগরণ মঞ্চ একাংশের মুখপাত্র কামাল পাশা চৌধুরী, অমি রহমান পিয়াল, শামস রাশীদ জয়, মাহমুদুল হক মুন্সী বাঁধন, সাগর লোহানী, এফ এম শাহীন, আজম খান, রুমি আহমেদ প্রমুখ।

গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ফেসবুকে এক ইভেন্টের মাধ্যমে সারাদেশে এ আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন অনলাইন এক্টিভিস্টরা। ইতোমধ্যে এ আয়োজন অনলাইনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই শুধুমাত্র ইভেন্ট নয়, ইভেন্টের বাইরেও নিজেদের টাইমলাইনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিরোধে আইনের দাবি জানিয়েছেন।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, তারা মঙ্গলবার (৯ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মানববন্ধন ও সমাবেশের পর আগামি শনিবার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে। এরপর জেনোসাইড ডিনাইয়াল আইনের দাবিতে তারা আইন মন্ত্রণালয়ের বরাবর স্মারকলিপি দেবে।

এদিকে, ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের পাশাপাশি আগামি শনিবার বিকেল চারটার সময় চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেছে চট্টগ্রামের অনলাইন এক্টিভিস্টরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত