নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ এপ্রিল, ২০১৮ ১৭:০৩

তদন্তে সহযোগিতা করতে অপারগতা প্রকাশ করে তারা: ডিবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন নেতাকে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্যে নিয়ে আসা হয়েছিল তবে তারা সহযোগিতা করতে অপারগতা প্রকাশ করে বলে দাবি  ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, ভিসির বাংলোতে হামলার ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। ভিডিও ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাদের আমরা অনেককেই চিনি না । ওই তিনজনকে নিয়ে আসার কারণ হচ্ছে ওরা অনেককেই চিনতে পারে। তদন্তে সহযোগিতার জন্যই নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে আসার পর তারা বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে চায় এবং আমাদের সহযোগিতা করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বলা হয় পরবর্তীতে ডাকলে যেন আসে।

আবদুল বাতেন বলেন, ছাত্ররা যে দাবি করছেন, তাদের চোখ বেঁধে আনা হয়েছে, এটা ভুল বোঝাবুঝি। তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো অভিযোগও নেই। তারা মামলা প্রত্যাহার চেয়েছেন, কিন্তু সেটির সঙ্গে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর ব্যাখ্যা তারাই দিতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, মামলার তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি আছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলা যাবে না।

উল্লেখ্য, সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর দুই ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলনকারী তিন নেতাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের চোখ বেঁধে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। দ্রুত ওই খবর ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে এক ঘণ্টার মধ্যে তিন নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এপর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের নেওয়া হয়েছিল।’ তবে ফিরে আসা তিন ছাত্রই সাংবাদিকদের জানান, তাদের গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে ফেলা হয়। যাদের তুলে নেওয়া হয় তারা হলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তিন যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র নুরুল হক, এমবিএর (ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ) ছাত্র রাশেদ খান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ফারুক হাসান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত