সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:৩৪

রানাপ্লাজা ট্রাজেডির পাঁচ বছর

আজ  ২৪ এপ্রিল। দেশের পোশাক শিল্পের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভারের রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিকের করুণ মৃত্যু হয়।

২০১৩ সালে ধসে যাওয়া সেই রানাপ্লাজায় তিনটি পোশাক কারখানা ছিল। প্রতিদিনের মতোই ওইদিনও নাইট ডিউটি শেষ করে শ্রমিক বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আর ডে-শিফটের শ্রমিকরা ভবনে প্রবেশ করছিলেন। সকাল সাড়ে আটটার দিকে দিনের ডিউটি শুরু হওয়ার পনের মিনিট পরেই হুরমুর করে ধসে পড়ে ভবনটি।রানাপ্লাজা ধসে।

তৃতীয় তলায় ছিল নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড নামের কারখানা। চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় ছিল নিউ ওয়েভ স্টাইল লিমিটেড ও ফ্যানটম ট্যাক লিমিটেড। আর ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় ইথারটেক্স লিমিটেড গার্মেন্টস। সবগুলো আস্তে আস্তে দেবে যায়। প্রায় চার হাজারের মতো মানুষ দুর্ঘটনার সময় ওই ভবনটিতে আটকা পড়েছিল।

শেষ পর্যন্ত ধসে যাওয়া প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ২ হাজার ৪৩৮ জনকে। আহতদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেকে আবার মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছেন।

রানাপ্লাজার জমি বর্তমানে সরকার দখলে রেখেছে। সেখানে এখন জংলায় পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর নিহতদের স্বজনরা আসেন প্রিয়জনের স্মৃতিচারণায়।

নিহত-আহতদের স্বজনরা এখনও দাবি করছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত বুঝিয়ে দেওয়া হোক। কাউকেই এখনও প্রতিশ্রুত অর্থের পুরোটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত