সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ মে, ২০১৮ ১২:৪১

রাজীবের ভাইদের কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ স্থগিত

বেপরোয়া দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া তিতুমীর কলেজছাত্র রাজীব হোসেনের ভাইদের কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে ৩০ জুনের মধ্যে হাইকোর্টের গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দুর্ঘটনার প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটি যে প্রতিবেদন দেবে, তার ভিত্তিতে রাজীবের দুই ভাইকে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে দিতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২২ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে বিআরটিসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। রাজীবের পরিবারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

গত ৮ মে রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মালিককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশটি দিয়েছিলেন। এরপর এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)।

গত ৩ এপ্রিল দুই বাস চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালানো শিকার হন রাজীব। দুই বাসের চাপে হাত কাটা পড়ে রাজীবের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রাজীবের চিকিৎসার খরচ স্বজন পরিবহন মালিক এবং বিআরটিসিকে বহনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকর করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আইন সংশোধন বা নতুন করে বিধিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবেনা তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। রাজীব ১৬ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে মারা যান। এরপর ৬ মে এ তথ্য আদালতকে অবহিত করেন আইনজীবী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত