সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ জুন, ২০১৮ ২২:৫৬

এমপিওভুক্তির কার্যক্রম নিয়ে সুখবর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যে ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ জারি করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। শনিবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য শামসুল হক টুকু, সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নাসিমা ফেরদৌসি ও স্বতন্ত্র সদস্য রহিম উল্লাহ।

জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করেছে বর্তমান সরকার। অবশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হবে।

সরকারি দলের সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু, বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম ও সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি (জেপি)’র সদস্য মো. রুহুল আমিনের প্রশ্নের জবাবে নূরুল ইসলাম নাহিদ জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ ও বিদ্যমান ভবন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে সংগৃহীত ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তালিকার ভিত্তিতে প্রণীত ‘বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন’ ও ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ’ শীর্ষক দু’টি প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।

প্রথম প্রকল্পে ১০ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা ও দ্বিতীয় প্রকল্পে পাঁচ হাজার ২৩৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী জুলাই মাস থেকে প্রকল্প দু’টির কাজ শুরু হবে।

স্বতন্ত্র সদস্য স্বপন ভট্টাচার্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধার আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধা বোর্ড’ এর আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বাজেট থেকে সীডমানি হিসেবে ৫০০ কোটি টাকা ও থোক বরাদ্দ হিসেবে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে অনলাইনে অবসর সুবিধার আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্য অর্থ অনলাইন ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। মোবাইলে এসএমএস’র মাধ্যমে তা অবহিত করা হচ্ছে। এতে ঢাকায় না এসেই অবসর সুবিধা পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

জাসদের নাজমূল হক প্রধানের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ জানান, কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নীতিমালা বাস্তবায়নে মেট্রোপলিটন-বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে পৃথক মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সরকারি দলের নূরজাহান বেগমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের যে সকল উপজেলায় কোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ নেই, সে সকল উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ সরকারি করা হবে। সে অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে ১৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪০টি কলেজ সরকারি করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত