সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ আগস্ট, ২০১৮ ১৯:৩৯

রিমান্ডে অভিনেত্রী নওশাবা

অভিনেত্রী ও মডেল কাজী নওশাবা আহমেদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৫ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল হক এ আদেশ দেন। উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ নওশাবাকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে।

রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার জিগাতলায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ‘দুই ছাত্রের মৃত্যু এবং একজনের চোখ তুলে ফেলার’ কথা নিজের ফেসবুকে ছড়ান। নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোই নওশাবার উদ্দেশ্য ছিল। এ গুজব ছাড়ানো ও পরিকল্পনায় সহযোগী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামি নওশাবার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত তা নাকচ করে দেন।

শনিবার দুপুরের দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ের কর্মীদের সংঘর্ষে জিগাতলা এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। বিকেল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চলা সংঘর্ষে হেলমেট পরা একদল যুবককে দেখা গেছে, যাদের একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা গেছে। সংঘর্ষে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে অভিনেত্রী নওশাবা বিকেল চারটার দিকে ফেসবুক লাইভে আসেন।

১ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের লাইভ ভিডিওর শুরুতেই তিনি বলেন, ‘আমি কাজী নওশাবা আহমেদ বলছি, আপনাদের জানাতে চাই, একটু আগে জিগাতলায় আমাদের ছোট ভাইদের একজনের চোখ তুলে ফেলা হয়েছে, দুজনকে মেরে ফেলা হয়েছে।’

নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্যই নওশাবার উদ্দেশ্য ছিল বলে জানায় র‍্যাব।

নওশাবা র‍্যাবের কাছে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে আসার আগে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি জিগাতলা নিয়ে কথা বলার সময় উত্তরায় ছিলেন। রুদ্র নামের এক ছেলে তাঁকে লাইভ করতে বলেন। তাই তিনি উত্তরা থেকে লাইভ করেছেন।

শনিবার রাতে র‍্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের জানান, এমনভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে, মাঠে থাকা শিক্ষার্থীরা তা শুনে মনে করেছে, আসলেই ঘটনাটি ঘটেছে। নওশাবা উত্তরার একটি শুটিং স্পটে থাকা অবস্থায় ফেসবুক লাইভে আসেন। তাঁর অভিব্যক্তির কারণে বিষয়টি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

নওশাবা স্বীকার করেছেন, একজনের অনুরোধে তিনি এমনটা করেছেন।

ফেসবুকে গুজব ছাড়ানোর অভিযোগে শনিবার রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে নওশাবাকে আটক করে র‌্যাব। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুজব ছাড়ানোর কথা স্বীকার করেন তিনি। পরে র‌্যাব বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে এ মামলা করে নওশাবাকে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত