সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ আগস্ট, ২০১৮ ২০:৩০

ইভিএমের বিধান রেখে সংসদে উঠছে সংশোধিত আরপিও

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার বিষয়টি যুক্ত করে সেটি পাস করার জন্য সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলার জন্য কাজ চলছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।

রোববার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরপিও সংশোধনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে কমিশনের দুটি বৈঠকও হয়েছে। সেখানে কিছু সংশোধন এবং আরো কিছু প্রস্তাবনা এসেছে। এখন এটি কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আরপিও তো আমরা পাস করতে পারব না। এ বিষয়ে আগে কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী সংসদ অধিবেশনে এটি পাঠাতে আমরা কাজ করছি। কমিশনে সিদ্ধান্ত হলে তারপর সংসদে পাঠানো হবে।’

কবিতা খানম বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা মোটামুটি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি আরপিওতে আনতে হবে। এরপর সক্ষমতা দেখতে হবে। ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আরপিও সংশোধনে করে ইভিএম আর সেনাবাহিনী আনার চিন্তা করছি। ইভিএম ব্যবহারের জন্য সক্ষমতা লাগবে, আস্থার ব্যাপার আছে, প্রশিক্ষিত লোকবল লাগবে। আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে সেভাবে এগোবো।’

তিনি বলেন, ‘আরপিওতে আসলে কিভাবে আসবে, নীতিমালা কি হবে, এসব ভাবার বিষয় আছে। মেশিন কিনলেই হবে না। যারা এর পেছনে থাকবেন তাদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তাভাবনা ইসির আছে।’

সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনের লোকবলের (জেলা প্রশাসক) পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের নিয়োগের বিষয়টিও সম্পূর্ণ কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়। এসব বিষয় নিয়ে আমরা এখনো সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছি না। ঈদের পর কমিশনের বৈঠক আছে। তখন আলোচনা করা হবে। মৌলিক আইনি কাঠামোতে ইভিএম ঢোকানোর বিষয়টি আমরা দেখবো। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারবিধি কিরূপ হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

আসছে নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিজস্ব কর্মকর্তাদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে কি না, এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আর সবার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’

কবিতা খানম বলেন, সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো দলকে নিবন্ধন দেওয়ার কোনো চিন্তাভাবনা আমাদের নেই। অনেক আবেদন এসেছিল। দু'টো বিবেচনার জন্য রাখা হয়েছে। নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ থাকলে তারা পাবে।’

কমিশনের ঐক্যের প্রসঙ্গে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতবিরোধ বলতে কিছু নেই। কেননা, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা সংবিধানে বলা আছে। দুই একজন নোট অব ডিসেন্ট দিতেই পারেন। কাজেই কেন বলা হচ্ছে দ্বিধা বিভক্ত? এটা সংবিধানই অধিকার দিয়েছে। মতপার্থক্য তো থাকবেই।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত