সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৩:০৯

মঙ্গলবার শহিদুল আলমের জামিন শুনানি

তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাই কোর্ট।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময় চাইলে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেন।

গত ২৮ আগস্ট শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আজ আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

তিনি জানান, আজকে শহিদুল আলমের পক্ষে জামিনের আবেদন হাই কোর্টের কার্য তালিকায় ছিল। সে বিষয়ে আদালতকে বলেছি যাতে এ আবেদনের একটু আগে শুনানি করা যায়। কিন্তু এর আগেই অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানিয়েছেন, এ আবেদনের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজেই থাকতে চান। এ কারণে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় চান। পরে আদালত তাদের আবেদনটি মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময় দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে এটাও বলা হয়েছে, যেহেতু এ আবেদনটির ফাইল ছয় দিন ধরে পরে আছে এ ব্যাপারে তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তাহলে তা লিখিত আকারে দাখিল করতে বলেছেন আদালত।

ব্যরিস্টার সারা হোসেন বলেন, আমরা আশা করবো আগামীকাল (মঙ্গলবার) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আপত্তি থাকবে না। কারণ তার কারাবন্দি এক মাস হয়ে গেছে। শুধুমাত্র একটি বক্তব্য দেওয়ার কারণে এক মাস ধরে কারাবন্দি। যদিও সেই বক্তব্যের অনেক কথাই তিনি বলেননি। ইন্টারনেটে গিয়ে আপনারা দেখতে পারবেন সেখানে অনেক কথাই তিনি বলেননি, যা তার বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। এটার জন্য কেন একজন মানুষকে এক মাস আটকে রাখতে হবে তা আমাদের বুঝে আসছে না।’

জানা যায়, এ মামলায় ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। গত ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। এরপর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। এ অবস্থায় ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেন নি। এ অবস্থায় হাই কোর্টে তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উস্কানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর আগের দিন রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে তুলে নেয় ডিবি। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত