সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০১:১৫

কী থাকছে ১০০ বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনায়?

আসছে প্রায় ১০০ বছরের (২১০০ সাল পর্যন্ত) ডেলটা প্লান বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদি এই পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। আসছে প্রায় ১০০ বছরের (২১০০ সাল পর্যন্ত) ডেলটা প্লান বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদি এই পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ নামে দীর্ঘমেয়াদি এই পরিকল্পনা প্রণয়নে ডেলটা কমিশন নামে আলাদা কমিশনও গঠন করা হবে। নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় এতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ৭৮২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পনাটি তৈরির দায়িত্ব পালন করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। আজ (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে এটি উপস্থাপন করা হতে পারে। রাজধানীর শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। এটি উপস্থাপন করবেন জিইডির সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন। এদিন এ পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদনও হতে পারে।

এই পরিকল্পনা নিয়ে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গণভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডেলটা প্ল্যান ২১০০ এর মাধ্যমে ১০০ বছরে বাংলাদেশ কোন পর্যায়ে যাবে সেই পরিকল্পনা চলছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ব-দ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য অভিঘাত থেকে বাঁচাতে এই প্ল্যান। দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেই ডেলটা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন হাতে নেয়া হচ্ছে।

ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বন্যা, নদী ভাঙন, নদী শাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিবছর জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রায় আড়াই শতাংশ অর্থের প্রয়োজন হবে। ২০৩১ সাল নাগাদ প্রতিবছর ২৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।

নেদারল্যান্ডস’র ডেলটা ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিকল্পনার ধারণা অনুযায়ী, দেশজ আয়ের মোট চাহিদার আড়াই শতাংশের মধ্যে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অর্থায়ন বেসরকারি খাত থেকে এবং ২ শতাংশ সরকারি খাত থেকে যোগান দিতে হবে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বেশিরভাগ সরকারি অর্থায়ন বন্যা থেকে রক্ষা, নদী ভাঙন, নিয়ন্ত্রণ, নদী শাসন, এবং নাব্যতা রক্ষাসহ সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ নদী ব্যবস্থাপনায় ব্যয় হবে।

জিইডি সূত্রে জানা যায়, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর প্রাথমিক ধাপ বাস্তবায়ন হবে ২০৩০ সাল নাগাদ। এই পরিকল্পনা যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো-সংক্রান্ত এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণাবিষয়ক প্রকল্প রয়েছে।

আর বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছয়টি স্থানকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো- উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল এবং নগর এলাকা। অঞ্চলভেদে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং এর সাধারণ ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে প্রায় ১০০ বছর মেয়াদি এই পরিকল্পনা তৈরির কাজ তিন বছর আগে শুরু করে সরকার। বাংলাদেশ ডেলটা প্লান-২১০০ শীর্ষক এ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। পরিকল্পনা তৈরির জন্য ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে দেশটি।

এ প্রসঙ্গে জিইডির সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, এই পরিকল্পনা প্রণয়নে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ২ হাজার বিশেষজ্ঞ এর সঙ্গে কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করে ধাপে ধাপে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মেকাবেলায় নদী ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং ভূমি উদ্ধারের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে এটি দেশের জন্য একটি বিরাট বিষয় হবে।

পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পনাটি তৈরির দায়িত্ব পালন করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। আজ (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে এটি উপস্থাপন করা হতে পারে। রাজধানীর শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। এটি উপস্থাপন করবেন জিইডির সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন। এদিন এ পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদনও হতে পারে।

এই পরিকল্পনা নিয়ে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গণভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডেলটা প্ল্যান ২১০০ এর মাধ্যমে ১০০ বছরে বাংলাদেশ কোন পর্যায়ে যাবে সেই পরিকল্পনা চলছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ব-দ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য অভিঘাত থেকে বাঁচাতে এই প্ল্যান। দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতেই ডেলটা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন হাতে নেয়া হচ্ছে।

ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বন্যা, নদী ভাঙন, নদী শাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বিদ্যমান অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিবছর জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রায় আড়াই শতাংশ অর্থের প্রয়োজন হবে। ২০৩১ সাল নাগাদ প্রতিবছর ২৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।

নেদারল্যান্ডস’র ডেলটা ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিকল্পনার ধারণা অনুযায়ী, দেশজ আয়ের মোট চাহিদার আড়াই শতাংশের মধ্যে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ অর্থায়ন বেসরকারি খাত থেকে এবং ২ শতাংশ সরকারি খাত থেকে যোগান দিতে হবে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বেশিরভাগ সরকারি অর্থায়ন বন্যা থেকে রক্ষা, নদী ভাঙন, নিয়ন্ত্রণ, নদী শাসন, এবং নাব্যতা রক্ষাসহ সামগ্রিক নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ নদী ব্যবস্থাপনায় ব্যয় হবে।

জিইডি সূত্রে জানা যায়, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর প্রাথমিক ধাপ বাস্তবায়ন হবে ২০৩০ সাল নাগাদ। এই পরিকল্পনা যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো-সংক্রান্ত এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণাবিষয়ক প্রকল্প রয়েছে।

আর বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছয়টি স্থানকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো- উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল এবং নগর এলাকা। অঞ্চলভেদে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং এর সাধারণ ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে প্রায় ১০০ বছর মেয়াদি এই পরিকল্পনা তৈরির কাজ তিন বছর আগে শুরু করে সরকার। বাংলাদেশ ডেলটা প্লান-২১০০ শীর্ষক এ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। পরিকল্পনা তৈরির জন্য ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে দেশটি।

এ প্রসঙ্গে জিইডির সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, এই পরিকল্পনা প্রণয়নে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ২ হাজার বিশেষজ্ঞ এর সঙ্গে কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করে ধাপে ধাপে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মেকাবেলায় নদী ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং ভূমি উদ্ধারের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে এটি দেশের জন্য একটি বিরাট বিষয় হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত