তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় কারাগারে আটক আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি বোরহানউদ্দিন ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

এর আগে শহিদুল আলমের ডিভিশন চেয়ে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। ওই আদালত তাকে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর না হওয়ায় বুধবার হাই কোর্টে রিট আাবেদন করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

পরে শুনানি শেষে শহিদুল আলমকে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

এদিকে মঙ্গলবার শহিদুলের জামিন শুনানিতে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ বিব্রত বোধ করায় তৃতীয় বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছেন শহিদুল আলমের আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিন শুনানিতে করতে বিব্রতবোধ করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

এরও আগে, গত ২৮ আগস্ট শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

এ মামলায় ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। গত ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। এরপর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। এ অবস্থায় ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় তারা হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর আগের দিন রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে তুলে নেয় ডিবি। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।