সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৫:৪৭

যত ইচ্ছে সাজা দিন, আমি বারবার আসতে পারব না: খালেদা জিয়া

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘এখানে ন্যায়বিচার নেই। যা ইচ্ছে তাই সাজা দিতে পারেন। যত ইচ্ছে সাজা দিতে পারেন। আমি অসুস্থ। আমি বারবার আদালতে আসতে পারব না। আর এভাবে বসে থাকলে আমার পা ফুলে যাবে। আমার সিনিয়র কোনো আইনজীবী আসেনি। এটা জানলে আমি আসতাম না।’

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এ কথা বলেন তিনি।

এই আদালতের বিচারক ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। বেলা ১১টার দিকে তিনি আদালতে আসেন। মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ছিল আজ।

খালেদা জিয়াকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালতে হাজির হন। হুইলচেয়ারে করে তিনি আসেন। পরনে ছিল বেগুনি রঙের শাড়ি। চেয়ারে বসা অবস্থায় তাঁর পায়ের ওপরের অংশ থেকে নিচ পর্যন্ত সাদা চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তাফা খান আদালতে এসেছিলেন। বিএনপিপন্থী এই আইনজীবী আদালতে খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবী দেখতে না পেয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন।

পরে তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, আমি এখানে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে এসেছি। খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনা করেন—এমন কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হননি। রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী কারাগারে আদালত বসবেন—এ ধরনের প্রজ্ঞাপন গত রাতে আসামিপক্ষের এক আইনজীবীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এটা যথাযথভাবে আসামিপক্ষকে জানানো হয়নি।

তাই আদালতকে সার্বিক বিবেচনায় নতুন তারিখ ধার্য করতে অনুরোধ জানান তিনি।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে জানান, আজ এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হয়। এরপর থেকে অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে এখন পর্যন্ত আদালতে হাজির করা যায়নি। তাঁর অসুস্থতা ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কারাগারে আদালত বসানোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনটি যথাযথভাবে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়াকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর অন্য আইনজীবীদের ব্যক্তিগতভাবে আজকের শুনানির বিষয়ে জানানো হয়েছে।

এমনকি বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা-সংলগ্ন অস্থায়ী আদালত যেখানে বসত সেখানেও তা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি আদালতের কার্যক্রম শুরুর আরজি জানান।

শুনানি শেষে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামিদের জামিন ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল রেখে সেই দুদিন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

আদালত থেকে যাওয়ার সময় খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার কোনো সিনিয়র আইনজীবী আদালতে ছিল না। তাদের যথাযথভাবে নোটিশ দেওয়া হয়নি। যে প্রজ্ঞাপন গত রাতে করা হয়েছে, তা সাত দিন আগে কেন হয়নি। আদালতকে জানিয়েছি, আমি অসুস্থ, বারবার আসতে পারব না।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত