নিউজ ডেস্ক

১০ জুলাই, ২০১৫ ০৮:৫২

ময়মনসিংহে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নিহত ২৭, তদন্ত কমিটি গঠন

 

ময়মনসিংহের নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরিতে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। শহরের অতুল চক্রবর্তী সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

 

 মধ্যরাত রাত থেকেই ময়মনসিংহ শহরের নূরানি জর্দা ফ্যাক্টরির সামনে যাকাতের কাপড় নিতে জড়ো হয়েছিলো কয়েক হাজার মানুষ। ভোর ৫টার দিকে শুরু হয় যাকাতের কাপড় বিতরণ। এক পর্যায়ে হুড়োহুড়ি শুরু হলে বহু লোক পদদলিত হয়। আহত ও নিহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

 

একজন প্রত্যাক্ষদর্শী জানান, ফ্যাক্টরির মালিক প্রতিবছরই যাকাত দেন। সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবারও যাকাত দেয়ার জন্য জর্দা ফ্যাক্টরির গেট খোলা হয়। এসময় কয়েক হাজার নারী-পুরুষ এক সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে গেটের ভেতরে ঢুকতে চাইলে পদদলিত হন অসংখ্য মানুষ।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের অতুল চক্রবর্তী রোডে ব্যবসায়ী শামীম তালুকদারের নূরানী জর্দা কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই কারখানার মালিক শমীমসহ সাতজনকে পুলিশ আটক করেছে।

ওসি জানান, “সেহরির পর কারখানার গেইট খোলার সঙ্গে সঙ্গে নারী-পুরুষ একসঙ্গে ঢোকার চেষ্টা করলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।”

এ ঘটনায় আরও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরোও বারতে পারে বলে আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওসি বলছেন, ১১টি লাশ ময়মনসিংহ মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু লাশ স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে গেছেন। সব মিলিয়ে অন্তত ২৭ জনের লাশ পাওয়ার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।

 

এ দিকে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সদরদপ্তর থেকে ৩ সদস্যের ওই কমিটি করা হয়। কমিটিকে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

 

তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলামকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- এপিবিএনের কমান্ডেন্ট মোস্তফা কামাল এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডি অ্যান্ড পিএস বিভাগের এএসপি আফজাল হোসেন।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত